১৪ দিনের কঠোর লকডাউনে বন্ধ রয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহন, দোকানপাট, শপিংমল সহ বিভিন্ন কার্যক্রম। কিন্তু খোলা রয়েছে ভারত থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম। তবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে বন্দরের অভ্যন্তরীণ সকল প্রকার কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন পানামা পোর্ট লিংকের সহকারী ব্যবস্থাপক অতিশ কুমার শ্যানাল। সোমবার (২৬ জুলাই) হিলি পানামা পোর্ট ঘুরে দেখা যায়, কোরবানি ঈদ উপলক্ষে ৬ দিন বন্ধ থাকার পর, সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে চালু হয়েছে ভারত থেকে এই বন্দরে পণ্য আমদানির কার্যক্রম। রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভারত থেকে বন্দরে পণ্য বাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে ১০৮ টি। আবার ১২৫ টি দেশি ট্রাক পণ্য লোড হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে গেছে। ভারত থেকে হিলিতে প্রবেশ পথ চেকপোস্টে রয়েছে প্যানেল মেশিন, যেটির মধ্যে ভারত থেকে আসা ট্রাক চালক হেলপারদের প্রবেশ করে স্প্রে করা হচ্ছে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে তাদের নিকট কাগজপত্র আদান-প্রদান করা হচ্ছে। আবার বন্দর মুখে প্রবেশের সময় পণ্য বাহী ট্রাক সহ চালক হেলপারদের জীবাণু নাশক স্প্রে করা হচ্ছে। মেশিন দ্বারা তাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। বন্দর অভ্যন্তরে সকল শ্রমিকরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে, মুখে মাস্ক পরিধান করে ভারতীয় এবং দেশি ট্রাকগুলো লোড-আনলোড করছেন। হিলি স্থলবন্দরের শ্রমিক প্রধান গোলাম মোর্শেদ জানান, বন্দরে আমার প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ শ্রমিক কাজ করছেন। তাদের প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে সচেতন করছি। তারা সরকারি বিধিনিষেধ অনুযায়ী বন্দরে কাজ করছেন। হিলি পানামা পোর্ট লিংকের গণসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, ভারতীয় পণ্য বাহী ট্রাক ও চালক হেলপারদের স্বাস্থ্য বিধি মেনেই বন্দরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। রবিবার ১০৮ টি ভারতীয় পণ্য বাহী ট্রাক এই বন্দরে প্রবেশ করেছে এবং ১২৫ টি দেশি ট্রাক বন্দর থেকে বের হয়েছে। হিলি পানামা পোর্ট লিংকের সহকারী ব্যবস্থাপক অতিশ কুমার শ্যানাল বলেন, সরকারি সকল বিধিনিষেধ অনুযায়ী পোর্টের কার্যক্রম আমরা পরিচালনা করছি। হিলি কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পোর্টের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা মুখে মাস্ক ব্যবহার করে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে তারা তাদের কাজ করে যাচ্ছেন। হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চলমান লকডাউনের মাঝেও দেশের সকল স্থলবন্দর চালু রয়েছে। হিলি স্থলবন্দরের সকল আমদানি-রপ্তানি কারকরা সরকারি বিধিনিষেধ মেনে তাদের আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রয়োজন ছাড়া তারা কেউ তাদের অফিস থেকে বের হচ্ছে না। মাস্ক পরিধান করে, স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এবং গলায় পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে বন্দরে যাওয়া-আসা করছেন।