কঠোর লকডাউনেও জামালপুর-মাদারগঞ্জ সড়কে বন্ধ হয়নি সিএনজি চালিত অটোরিকশা। সড়ক পথে নানা জনকে খরচ দিয়ে অবাধে চলছে সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ ব্যাটারি চালিত রিকশা। লকডাউন ও করোনার কারনে ভাড়া বাড়লেও যাত্রীর সংখ্যা রয়েছে আগের মতই। মাদারগঞ্জ থানা মোড় থেকে জামালপুর শহরে চলাচল করছে এসব সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত রিকশা। এসব যানবাহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি। মাদারগঞ্জ-জামালপুর সড়কে চলাচল করা সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত রিকশাগুলো শহরের নয়াপাড়া পাঁচ রাস্তা মোড় পর্যন্ত ভাড়া ছিল ৫০ টাকা। লকডাউনের কারনে এখন যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে মির্জা আজম চত্বরে। সিএনজি চালিত অটোরিকশাগুলো স্বাস্থ্য বিধি না মেনে ৫ জন করে যাত্রী তুলছে। ভাড়া নিচ্ছে ১০০ টাকা করে প্রতিজনের কাছ থেকে। পথে টহল পুলিশ ও কথিত শ্রমিক নেতাদের বকশিস দিয়ে অবাধে চলছে এসব যানবাহন।স্বাস্থ্য বিধি না মেনে অবাধে এসব যানবাহন চলাচল করায় একদিকে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়ছে অন্যদিকে সরকারের কঠোর লকডাউনের উদ্দেশ্য ব্যহত হচ্ছে।যাত্রীদের অভিযোগ, মাদারগঞ্জ- জামালপুর সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের সাথে ভাড়া নিয়ে প্রতি মহুর্তে ঝগড়া হচ্ছে। সিএনজি চালকরা বলছেন, পথের খরচ বাড়ছে, তাই ভাড়াও বাড়ছে।একজন সিএনজি চালক ক্ষোভের সাথে বলেন, সব রোডেই সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলছে, এই রোডে চললে দোষ কি।বুধবার মাদারগঞ্জ থানা মোড় থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় জামালপুর শহরে আসেন স্থানীয় এক মাদ্রাসা ও এতিম খানার মোহতামিম। শহরের মির্জা আজম চত্বরে তাকে নামিয়ে দেয় ওই সিএনজি চালক শাহজাহান। ভাড়া নিয়ে তার সাথে কথা-কাটাকাটি হবার এক পর্যায়ে জানিয়ে দেন, এ নিয়ে কোনো জায়গায় অভিযোগ করে লাভ নেই। পথের সবাইকে ম্যানেজ করেই তারা যানবাহন চালাচ্ছেন। বিধিনিষেধ অমান্য করে চলাচল করা সিএনজি ও অটোরিকশা বন্ধে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে এমন প্রত্যাশা জেলার সচেতন।