প্রবল বর্ষণে মহেশখালীতে পাহাড় ধসে বাড়ীঘর বিধ্বস্তসহ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দ্বীপবাসীকে এহেন মর্মান্তিক ঘটনা রোধে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত ঝুঁকিপূর্ণ দশটি বাড়ীতে সিলগালা এবং করোনা কালে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় বিভিন্ন স্থানে জরিমানা করলেন উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (২৮ জুলাই) বিকালে কক্সবাজার মহেশখালীর কালারমারছড়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ীঘরে সিলগালা দিলেন মহেশখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রবল বর্ষণে পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে ধসে পড়ে গত সম্প্রতি ছোট মহেশখালী ইউনিয়নে ১৮ বসরের এক কিশোরী এবং হোয়ানক ইউনিয়নে ৮০ বছরের উর্ধ্বে এক বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পাহাড় ধসে মৃত্যু হয়েছে চারপায়ি গবাদি পশুও। বিভিন্ন স্থানে আহত হয়েছে অনেক লোকজন। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধস এবং ঢলে বিলিন হয়েছে অনেকের ঘরবাড়ী। এহেন পরিস্থিতি থেকে সুরক্ষা রাখতে উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় কালারমারছড়ার উত্তর নলবিলাসহ দশটি বাড়ীতে সিলগালা লাগিয়ে তাদের নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে নির্দেশ দেন। এসময় বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ, স্থানীয় ইউপি সদস্য লিয়াকত আলী খাঁন। সিলগালার চাবিগুলি চেয়ারম্যানকে সংরক্ষণের দায়িত্ব দেন। ওইদিন করোনা মহামারি রোধে সরকার প্রদত্ত বিধিনিষেধ না মানায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৯টি মামলা ৬ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা করেন উপজেলা প্রশাসন। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, দ্বীপবাসীকে নিরাপদ এবং করোনা-১৯ রোধে বৃষ্টিবাদল উপেক্ষা করে উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছে।