শরণখোলায় পঞ্চাশ সহস্রাধিক মানুষ এখনো পানি বন্দী হয়ে রয়েছে। অনেক পরিবারে রান্নাবান্না হয়না। ফসলের মাঠ ও বীজতলা পাঁচ ছয় ফুট পানির নীচে ডুবে রয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রা থমকে গেছে। সাাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টিপাতে শরণখোলার গ্রামাঞ্চল প্লাবিত হয়ে যায়। ৪/৫ ফুট পানির নীচে ডুবে যায় ফসলের মাঠ,বাড়ীঘর রাস্তাঘাট। ভেসে যায় পুকুর ঘেরের মাছ। ক্ষয়ক্ষতির পুরো চিত্র এখনো মেলেনি। উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এএসপি মোঃ হাবিবুর রহমান তালুকদার জানান, তাদের গ্রামের ফসলের মাঠ বীজতলা ৫/৬ ফুট পানির নীচে ডুবে আছে। এবছর ফসল উৎপাদন আশানুরুপ হবেনা বলে তিনি মন্তব্য করেন। ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম টিপু জানান, তার ইউনিয়নের শত শত পরিবার এখনো পানি বন্দী হয়ে আছে। ঘরে পানি ওঠায় অনেক পরিবারে রান্না হয়না আত্মীয়স্বজনের বাড়ী থেকে খাবার এনে খাচ্ছে বলে চেয়ারম্যান জানান। খোন্তাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মহিউদ্দিন ও সাউথখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন একই ধরনের তথ্য দিয়ে বলেন তাদের ইউনিয়নের অসংখ্য পরিবার পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। পর্যাপ্ত স্লুইসগেট না থাকায় জমে থাকা বৃষ্টির পানি খুব ধীরগতিতে নামছে বলে চেয়ারম্যানদ্বয় জানান। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাতুনে জান্নাত জানান, সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট জলাব্ধতায় উপজেলার চারটি ইউনিয়নে তের হাজার পরিবারের প্রায় ৫৫/৬০ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দী হয়ে আছে। পানি অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে ইউএনও জানান।