শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ফেরিতে পার হচ্ছেন শতশত যাত্রী। তবে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীদের চেয়ে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেশি। বিআইডব্লিউটিসি জানায়, নদীর দুই পাড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় আট শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষা রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, শিমুলিয়াঘাটের পার্কিং ইয়ার্ডে শতশত ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী গাড়ির সারি। শিমুলিয়াঘাট অভিমুখী সড়কে কয়েক কিলোমিটারজুড়ে দেখা যায় পণ্যবাহী গাড়ি। তবে পণ্যবাহী গাড়ির চেয়ে ব্যক্তিগত গাড়িই বেশি। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১৭টি ফেরির মধ্যে সচল রয়েছে ১০টি। জরুরি ও পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারের জন্য ফেরিগুলো সচল রাখা হলেও পার হচ্ছেন শতশত যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি। এতে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা পণ্যবাহী গাড়িগুলোকে দীর্ঘক্ষণ ঘাটে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আর অতিরিক্ত ভিড় থাকায় যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব কিছুই মানছেন না। ইয়াকুব নামের এক ট্রাকচালক বলেন, গতরাতে আসছি, দুপুর ১২টা বাজে, এখনও পার হতে পারি নাই। সব ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার হচ্ছে। আমরা সিরিয়ালই পাচ্ছি না। আরেক চালক হাসান শরীফ বলেন, শুনলাম শুধু মালামালের গাড়ি পার করবে। এখন দেখি সব প্রাইভেটকার পার হচ্ছে। ফেরিও কম, আমরা আছি দুর্ভোগে। ঢাকামুখী কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রয়োজন ও কর্মস্থলে যোগ দিতেই ঢাকা ফিরছেন তারা। আলী আহমেদ নামের এক যাত্রী বলেন, লকডাউন বেড়েছে। কিন্তু আমরা তো কাজ করে খাই। কয়দিন আর বসে থাকা যায়।
নীরব ব্যাপারী নামের আরেক যাত্রী বলেন, দোকানদারি করে জীবন চালাই। বারবার লকডাউনের সময় বাড়ালেও তো আমাদের বসে থাকলে চলে না। ঢাকায় গিয়ে দোকানপাট খুলতে হবে। তাই যাচ্ছি। বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক মো. ফয়সাল জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকে দুই ঘাটে উভয়মুখী যানবাহনের চাপ রয়েছে। শিমুলিয়াঘাটে দক্ষিণবঙ্গগামী তিন শতাধিক ও বাংলাবাজারঘাটে ঢাকামুখী পাঁচ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। ফেরির সংখ্যা কম আর বাড়তি গাড়ির চাপে পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সবাই জরুরি প্রয়োজনের কথা বলছে, তাই যেতে দেয়া হচ্ছে।