দেশে শিশুমৃত্যুর প্রধানতম কারণ হয়ে উঠছে ক্যান্সার। প্রাপ্তবয়স্কদের মতো এখন শিশুদের মধ্যেও প্রাণঘাতী ব্যাধিটির প্রকোপ বাড়ছে। দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থার গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ২৯ মাস থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যেও ক্যান্সারজনিত মৃত্যুহার বেড়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, দেশে শিশুস্বাস্থ্যে বড় এক সংকট হয়ে দেখা দিয়েছে ক্যান্সার। সম্প্রতি দেশে শিশুমৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে ৪০টি জেলায় এক জরিপ চালায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। জরিপে পাওয়া ফলাফল প্রকাশ হয়েছে ‘ডিটারমিনেশন অব কজেজ অব ডেথস বাই ভারবাল অটোপসি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে। আনুপাতিক হার বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে এখন শিশুমৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ হয়ে উঠেছে ক্যান্সার। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে আরেকটি গবেষণা চালায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) দুজন বিশেষজ্ঞ এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ‘চাইল্ডহুড ক্যান্সার: এ সিচুয়েশন অ্যানালাইসিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ, বাংলাদেশ পারসপেক্টিভ’ শীর্ষক ওই গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে প্রতি বছর ৯-১২ হাজার শিশু-কিশোর ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে।
প্রকৃতপক্ষে এ সংখ্যা আরো অনেক বেশি বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, আক্রান্ত শিশু ক্যান্সার নির্ণয় বা চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের কাছে আসার পরই তাদের তথ্য জানা সম্ভব হয়। এর বাইরেও অনেক শিশু-কিশোর বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় বা অপচিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা থেকে ১১ বছর বয়সী ক্যান্সার আক্রান্ত মেয়েকে নিয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালে এসেছেন ডলি বেগম। বছর তিনেক আগে ঘন ঘন জ্বর আসায় মেয়েকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান তিনি। সে সময় পরীক্ষা করে শিশুটির ক্যান্সার ধরা পড়ে। তিন বছর ধরে মেয়ের ক্যান্সারের চিকিৎসা চালিয়ে আসছেন। করোনা সংক্রমণ এড়াতে চলমান বিধিনিষেধে যাতায়াতের ভোগান্তির মধ্যে বাড়তি খরচ করে ঢাকায় এসেছেন কেমোথেরাপি দিতে। সরবরাহ ব্যবস্থা অপ্রতুল থাকায় মেয়ের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধটিও তাকে কিনতে হয়েছে বাড়তি দামে। পাঁচ বছরের আরেক শিশু পাওলি। আড়াই বছর বয়সে ঘন ঘন জ্বর ও ঠা-াজনিত কারণে অসুস্থ হওয়ায় সিলেটের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান তার বাবা। নানা পরীক্ষার পর ধরা পড়ে শিশুটি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। সেখানে এ রোগের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় তাকে ঢাকার বিএসএমএমইউতে নিয়ে আসা হয়। গত কয়েক বছর সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, ক্যান্সারের মূল কারণ হচ্ছে জিনগত পরিবর্তন। এছাড়া ভেজাল খাদ্য, খাদ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার, বায়ুদূষণ ও বিকিরণের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে শিশুদের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে। শিশুদের মধ্যে ব্লাড ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব বেশি। এছাড়া ব্রেন, কিডনি, কোলন, লিভার ও হাড়ের ক্যান্সারেও আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। প্রাদুর্ভাব বাড়লেও শিশু ক্যান্সারের চিকিৎসায় এখনো অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। বড়দের ক্যান্সার চিকিৎসার যতটুকু সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়, শিশুদের ক্ষেত্রে তার সিকিভাগও নেই। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করছেন ঢাকাকেন্দ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং শয্যা ও যন্ত্রপাতিসহ প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গের অভাবকে। তারা জানিয়েছেন, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং বিএসএমএমইউর পেডিয়াট্রিক অনকোলজি বিভাগসহ হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে শিশুদের ক্যান্সার চিকিৎসা দেয়া হয়। এছাড়া সংকট রয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরও। ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ ফার্মাসিস্ট রয়েছেন মাত্র দুজন। বর্তমানে এসব সংকটকে আরো গভীর করে তুলেছে করোনা মহামারী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এখানকার শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগে প্রতি বছর গড়ে ৫০০ শিশুকে ক্যান্সারের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে কভিড পরিস্থিতিতে শিশুদের ক্যান্সারের চিকিৎসা গ্রহণের হার প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০১৯ সালে এখানে ১২ বছরের কম বয়সী রোগী চিকিৎসা নিয়েছে ৪১৪ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২০০-এর মতো। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মহামারীর কারণে সংক্রমণের ভয়ে অনেকেই চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসছে না। আবার চিকিৎসার জন্য যে ব্যয় হয়, সেটিও নির্বাহ করতে পারে না অনেক পরিবার। এছাড়া ক্যান্সার চিকিৎসায় যেসব ওষুধ ব্যবহার হয়, তার অনেকগুলোই বাজারে সহজলভ্য নয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. জোহরা জামিলা খান বলেন, এক বছরের ব্যবধানে রোগী অর্ধেকে নেমে আসার আসল কারণ করোনা পরিস্থিতি। হয়তো তারা ঠিকমতো আসতে পারেনি কিংবা অর্থনৈতিক বা অন্য কোনো সমস্যা ছিল। শিশু ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। অনেকেই খরচ চালাতে না পেরে মাঝপথে চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়। অনেকেই বিভিন্ন অপচিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়ে আরো অন্য জটিলতা তৈরি করে। লিউকেমিয়ার চিকিৎসার জন্য আড়াই-তিন বছর লেগে যায়। এত দীর্ঘ সময় ধরে ধৈর্য ও অর্থের জোগান দেয়া বেশ কষ্টসাধ্য।
তিনি বলেন, ক্যান্সার আগের মতো মরণব্যাধি নয়। ক্যান্সার হলে মানুষ বাঁচে। কিন্তু বাঁচাতে গেলে পরিপূর্ণ সমর্থন প্রয়োজন। ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে রোগীর অতিরিক্ত চাপের কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয় না। দীর্ঘসূত্রতার কারণে রোগ জটিল আকার ধারণ করে। স্টেজ ওয়ানে চিকিৎসকের কাছে এলেও অনেক সময় শয্যা না থাকায় রোগী ভর্তি করাতে করাতে ক্যান্সার স্টেজ তিনে পৌঁছে। তখন আর কিছু করার থাকে না।
এছাড়া দারিদ্র্যের কারণে অনেকেই শিশুদের সময়মতো চিকিৎসা করাতে পারে না। দুর্বল সরকারি ও স্থানীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার কারণে শিশুদের ক্যান্সার নির্ণয়েও অনেক দেরি হয়ে যায়। দেশে মৃত্যুপথযাত্রী ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের কষ্ট বা বেদনা প্রশমনে ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’ চালু থাকলেও তা রয়েছে খুবই সীমিত পরিসরে। শিশুদের ক্ষেত্রে এ সুবিধা পাওয়া যায় প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে অনেক কম। অন্যদিকে যতটুকু পাওয়া যায়, সেটুকু বহনের আর্থিক সামর্থ্যও অধিকাংশ শিশুর পরিবারের নেই। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের এ রকম সেবা দেয় হসপিস বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. শাহিনুর কবির বলেন, ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের প্যালিয়েটিভ সেবা দেয়ার হার ১ শতাংশেরও কম। সম্প্রতি করোনা মহামারীতে প্যালিয়েটিভ সেবা দেয়ার বিষয়ে বেশকিছু গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। সেই গাইডলাইনের আওতায় মহামারীর সময়ে আমরা সীমিত পর্যায়ে ক্যান্সার রোগীদের সেবা দেয়া শুরু করেছি।
ইন্টারন্যাশনাল চাইল্ডহুড ক্যান্সার (আইসিসি) বলছে, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় আড়াই লাখ শিশু। প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানে শিশু ক্যান্সার রোগীদের একটি যথাযথ পরিসংখ্যান থাকলেও বাংলাদেশে তা নেই। যে পরিসংখ্যান হচ্ছে তা শুধু সামনে আসা তথ্যের ভিত্তিতে। এ কারণে ক্যান্সারে শিশুমৃত্যুর যে পরিসংখ্যান পাওয়া যায়, প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি।
স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের ক্যান্সার শনাক্তের হার বাড়লেও চিকিৎসা সম্প্রসারিত হচ্ছে না। এমনকি এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও কম। দেশে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ২০-২২ জন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। আরো বেশি বিশেষজ্ঞ তৈরি করতে হবে। চিকিৎসক তৈরির পাশাপাশি শিশু ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য এ বিষয়ে অভিজ্ঞ নার্স ও টেকনিশিয়ান প্রয়োজন। কিন্তু দেশে এখনো অভিজ্ঞ নার্স কিংবা টেকনিশিয়ানের অভাব রয়ে গিয়েছে। বিদেশে শুধু শিশু ক্যান্সারের ওপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান তৈরি করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে সে সুযোগ নেই। আবার ঢাকার বাইরে শিশু ক্যান্সার চিকিৎসা তেমন উন্নত নয়। ঢাকার বাইরে শুধু চট্টগ্রামে শিশু ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ রয়েছেন একজন।
বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসায় অবকাঠামোসহ সব ধরনের সংকট রয়েছে। চিকিৎসার সুযোগ তৈরি করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
২০০৮ সালে বাংলাদেশ সরকার আটটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলজি বিভাগ চালু করে। জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতাল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০০৫ সালে চিকিৎসা শুরু করে। সরকারের অর্থায়নে প্রথম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ২০১০ সালে চিকিৎসা শুরু করে। শিশু হাসপাতালও এ চিকিৎসা শুরু করে ২০১৪ সালে। সরকারি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানেও এ চিকিৎসা শুরু হয়।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা হয় ঢাকার কয়েকটি হাসপাতালে। করোনার কারণে বাড়তি সতর্কতায় অনেকেই চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসছে না। আবার যাতায়াতে বিধিনিষেধের কারণে অনেকের পক্ষেই ঢাকায় এসে চিকিৎসা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। চিকিৎসায় যেসব বিদেশী ওষুধ ব্যবহার হয়, সেসবের প্রাপ্যতাও কমেছে। আবার দেশী যেসব ওষুধ ব্যবহার হয়, সেগুলোও সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। করোনার কারণে ক্যান্সার চিকিৎসায় খরচ অনেক বেড়েছে। এ কারণে অনেকেই চিকিৎসা নিতে আসছে না।
ক্যান্সার চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রোগীভেদে শিশুদের ক্যান্সার চিকিৎসার খরচও হয় ভিন্ন ভিন্ন। এক্ষেত্রে ওজন একটি বড় বিবেচ্য বিষয়। ১০ কেজি ওজনের একটি শিশুর রক্ত পরীক্ষা, কেমোথেরাপি, ওষুধ খরচ ইত্যাদি করতে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা লেগে যায়। যাতায়াত, অভিভাবকদের থাকা-খাওয়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ বাদ দিয়েই এ অর্থ ব্যয় করতে হয়। আগে আরো বেশি ব্যয় হতো। এখন কেমোথেরাপির ওষুধ দেশেই পাওয়া যাচ্ছে। ফলে ব্যয়ও হচ্ছে অনেক কম। সরকারি হাসপাতালগুলোয় কখনো কখনো কেমোথেরাপির একটি ডোজ দুটি শিশুকে দেয়া যায়। ফলে খরচ কম হয়। শিশুদের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা সরকারি হাসপাতালেই বেশি। খরচও তুলনামূলক কম।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, শিশুদের ৭০ শতাংশ লিউকেমিয়া রোগী নিরাময়যোগ্য। কিন্তু অভিভাবকদের ভুলে অনেক সময় রোগী বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছে যায়। কখনো দেখা যায়, শিশুর পা কেটে ফেলতে হয়, কিডনি একটা ফেলে দিতে হবে। আবার চিকিৎসা শুরুর আগে ভাবনাচিন্তার জন্য অভিভাবকরা অনেক দিন সময় নেন। ফলে রোগটি জটিল পর্যায়ে চলে যায়। কেউ কেউ কবিরাজ বা অন্য চিকিৎসায় ঝুঁকে পড়ে। এভাবেও রোগীর মৃত্যু হয়। তাই শিশু ক্যান্সার রোগীদের বাঁচাতে জনসচেতনতা তৈরির ওপরও জোর দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, করোনা মহামারীতে ক্যান্সার চিকিৎসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক সময় রোগীরা করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ছে, এতেও তাদের ঝুঁকি বাড়ছে। অনেক সময় রোগীর সঙ্গে যারা আসছে তাদেরও করোনা সংক্রমিত হয়ে পড়ার ভয় থেকে যায়। আবার শিশুদের ক্যান্সারের চিকিৎসা চালু রাখতে চিকিৎসায় রক্তের প্রয়োজন হলে ডোনার খুঁজে পাওয়াও মুশকিল। ক্যান্সার চিকিৎসায় যেকোনো পর্যায়ে সংক্রমণের ভয় থাকে। করোনা মহামারী সেটিকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে।