গাইবান্ধায় স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে গ্রাম পুলিশের মাঝে বিতরণ করার জন্য বাইসাইকেল সরবরাহে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ঠিকাদার জেলার গ্রাম পুলিশদের মাঝে এসব নিম্নমানের বাইসাইকেল সরবরাহের চেষ্টা করেছিলেন। সকলকে দিতে না পারলেও পলাশবাড়ী উপজেলায় কয়েকটি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশদের মাঝে নিম্নমানের এসব বাইসাইকেল প্রদান করা হলেও অন্য কোন মালামাল দেননি তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, নমুনার সাথে মিল না থাকলে ঠিকাদারের কাছ থেকে বাইসাইকেল সরবরাহ নেওয়া হবে না। অথচ হোসেনপুর ইউনিয়নের ১০ জন গ্রাম পুলিশ জানালো বাই সাইকেল গুলো নিম্নমানের । বাইসাইকেল গুলোর উপরে পেচানো হিরো জেট লেখা থাকলেও হ্যান্ডেল, প্যাডেল, বেল, ক্রাং, চাকা ও সীট বিভিন্ন কোম্পানির। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের প্রমাণ হোসেনপুর ইউনিয়নের ১০ জন গ্রাম পুলিশের ঘরে। জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলার সাত উপজেলার ৮১ ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত গ্রাম পুলিশদের (দফাদার ও মহল্লাদার) ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে পোশাক ও সরঞ্জামাদি বিতরণের জন্য ১ কোটি ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে রংপুর, গাইবান্ধা, খুলনা ও ঢাকার ঠিকাদাররা অংশ নেন। এবং ঠিকাদার নজরুল হক মালামাল সরবরাহের কার্যাদেশ পান। সিডিউল অনুযায়ী পুরুষদের ৭৯০টি ও মহিলাদের ২০ টি ভারতীয় -বিএসএ/হিরো/দুরন্ত বাংলাদেশী সাইকেল সরবরাহ করার কথা। কিন্তু ঠিকাদার নজরুল হক বিভিন্ন যন্ত্রাংশ জোড়া দিয়ে নিম্নমানের বাইসাইকেল তৈরি করে হিরো স্টিকার লাগিয়ে বিতরণ করেছেন। গত ২৯ জুলাই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সদর উপজেলার গ্রাম পুলিশদের মাঝে বিতরণ করার সময় এসব নিম্নমানের বাইসাইকেল গ্রহণে তারা অস্বীকৃতি জানান। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বাই সাইকেল বিতরণ ¯’গিত করা হলেও পলাশবাড়ীর হোসেনপুর ইউনিয়নের ১০ জন গ্রাম পুলিশের মাঝে নিম্নমানের বাই সাইকেল প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোছা. রোখছানা বেগম বলেন, বিতরণ করার জন্য নয়, তাদেরকে সাইকেলগুলো দেখানোর জন্য ডাকা হয়েছিল। আমাদের কাছে জমা দেওয়া নমুনার সাথে মিল না থাকলে ঠিকাদারের কাছ থেকে সরবরাহ নেয়া হবে না। ঠিকাদার নজরুল হক বলেন, একটি স্বার্থনেষী মহল তার বিরুদ্ধে নানা ধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছে তিনি এখনো কোন বাই সাইকেল সরবরাহ করেনি। উল্লেখ্য, ঠিকাদার নজরুল হক নিজের নামে দুটি ও স্ত্রীর নামে একটি লাইসেন্স করে বিভিন্ন দপ্তরের টেন্ডার হাতিয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে নিন্মমানের সামগ্রী সরবরাহ করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে প্রাথমিক সত্যতা মিললো বাইসাইকেল বিতরণে।