শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৫:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি রাসূল (সা.)-এর সীরাত থেকে শিক্ষা নিয়ে দৃঢ় শপথবদ্ধ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে—ড. রেজাউল করিম চৌদ্দগ্রামে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫, আহত ১৫ চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ কোরবানির পশু বেশি আছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী রাজনীতিবিদেরা অর্থনীতিবিদদের হুকুমের আজ্ঞাবহ হিসেবে দেখতে চান: ফরাসউদ্দিন নতজানু বলেই জনগণের স্বার্থে যে স্ট্যান্ড নেয়া দরকার সেটিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার মালয়েশিয়ার হুমকি : হামাস নেতাদের সাথে আনোয়ারের ছবি ফেরাল ফেসবুক হামাসের অভিযানে ১২ ইসরাইলি সেনা নিহত আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড় গাজানীতির প্রতিবাদে বাইডেন প্রশাসনের ইহুদি কর্মকর্তার লিলির পদত্যাগ

প্রথম মুসলিম হিসাবে ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক মার্কিন দূত হচ্ছেন রাশেদ হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৮ আগস্ট, ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কোনো মুসলিম হিসাবে ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক রাষ্ট্রদূত হতে যাচ্ছেন রাশেদ হোসেন। গত ৩০ জুলাই হোয়াইট হাউস শীর্ষ ধর্মীয় বিষয়গুলির জন্য মনোনয়নের তালিকা এবং নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন রাশেদ হোসেনকে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক অ্যাম্বাসাডর-অ্যাট লার্জ হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে। মার্কিন সিনেটে চূড়ান্ত অনুমোদনের পর রাষ্ট্রদূত পদমর্যাদার এ পদে নিযুক্ত হবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কূটনীতিক রাশেদ হোসেন। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতার (ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম) প্রথম মুসলিম দূত হিসেবে ৪১ বছর বয়সী রাশেদ হোসেনকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এ ঘোষণার মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আমেরিকা ও সব ধর্মের প্রতিনিধি নিয়ে একটি প্রশাসন গঠনের মনোভাব প্রকাশ করে।’
রাশেদ হোসেন এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের পার্টনারশিপ অ্যান্ড গ্লোবাল অ্যাজ্ঞেজম্যান্ট বিভাগের প্রধান ছিলেন। ওবামা প্রশাসনের সময় তিনি অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)-তে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও স্ট্র্যাটেজিক কাউন্টার টেরোরিজম কমিউনিকেশনসে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত এবং হোয়াইট হাউসের উপ-সহযোগী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত খিজির খানকে ইউসিআইআরএফের (ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম) কমিশনার হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এ কমিশনের কাজ হচ্ছেÍ মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
রাশেদ হোসেন আমেরিকার ওয়াইমিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা প্রকৌশলী মুহাম্মদ আকবর হুসাইন ও মা রুকাইয়া ছিলেন ভারতীয় মুসলিম প্রবাসী। রাশেদ যুক্তরাষ্ট্রের চ্যাপেল হিলের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনা থেকে দর্শন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। নিউ হ্যাভেন সিটির ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন। সেখানে তিনি ইয়েল ল জার্নালের সম্পাদক ছিলেন। এরপর তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক ও প্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এ সময় তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি বিষয়েও ডিগ্রি নেন। রাশেদ জর্জটাউন ল সেন্টার এবং জর্জটাউন স্কুল অফ ফরেন সার্ভিসে আইন বিষয়ক অধ্যাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি উর্দু, আরবি ও স্পেনিশ ভাষায় দক্ষতার সঙ্গে কথা বলতে পারেন। ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন এজেন্সিকে অসামান্য সেবা দেওয়ায় রাশিদ হুসাইনকে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, রাশেদ হোসেন একজন দক্ষ আইনজীবী ও হোয়াইট হাউসের বিশ্বস্ত কর্মী। কায়রোতে আমি যে অংশীদারিত্বের আহ্বান করেছিলাম তিনি এর উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা পালন করেন। তাছাড়া পবিত্র কোরআনের একজন হাফিজ হিসেবে তিনি আমেরিকান মুসলিম স¤প্রদায়ের একজন সম্মানিত সদস্য। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করায় আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। রাশেদ হোসেনের এ মনোনয়নকে স্বাগত জানিয়েছে মার্কিন ইহুদিরা। আমেরিকান জিউস কমিটির (এজেসি) পরিচালক ডেবিড হ্যারিস বলেছেন, আমরা মনে করি রাশেদ হোসেন মুসলিম ও ইহুদিদের মধ্যে সেতুবন্ধ রচনা করবেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com