ফেনীর ফুলগাজীতে মহামারী করোনা’র ভেক্সিন নিতে সাধারন মানুষদের মধ্যে আগ্রহের কমতি ছিল না। স্বাস্থ্যবিধির উপেক্ষা করে গণটিকা কেন্দ্রে নারী-পুরুষদের দীর্ঘ লাইন দেখে মনে হচ্ছে এই যেন জাতীয় নির্বাচনের ভোটার লাইন। যেখানে একসপ্তাহ পূর্বেও করোনার টিকা নিতে জনসাধারনের মাঝে বিভিন্ন নেগেটিভ মন্তব্য ও ভয় কাজ করছিল। সেখানে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মানুষদের মাঝে করোনার টিকা নিতে প্রবল আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও টিকা রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য নারী-পুরুষদের দলবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানে ভিড় করতে দেখা যায়। এর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই আবার নারী। ৭ আগস্ট (শনিবার) গণটিকা কার্যক্রমের ১ম দিনে ফুলগাজী উপজেলার কয়েকটির কেন্দ্রে দেখা যায়, নিবন্ধন কার্ড হাতে দীর্ঘ লাইনে নারী-পুরুষদের অপেক্ষা। টিকা নিতে পৃথক লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন নারী-পুরুষ। তবে পুরুষ বুথে অপেক্ষমাণ উপস্থিতি কম থাকলেও নারীদের বুথে ছিল দীর্ঘ লাইন। ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের দেড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সাদেক মিয়া জানান, বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ায় শরীরের শক্তি না থাকায় নিলক্ষী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত কেন্দ্রে করোনা টীকা দেওয়ার জন্য দীর্ঘ ১ ঘন্টা অপেক্ষা করে টিকা না দিয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। তবে টিকা নিতে আসা বেশির ভাগ নারী পুরুষের মুখে মাস্ক ছিলো না। বিধিনিষেধ অমান্য করে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিতে দেখা গেছে। এছাড়াও গণটিকা প্রদান নাম থাকলেও এক একটি কেন্দ্রে মাত্র ৬শ টি টিকা প্রদান করায় অনেকে টিকা নিতে না পেরে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেন। স্বেচ্ছাসেবী সংঘটন আলোকিত ব্লাড ডোনার এর সভাপতি নাজিম উদ্দিন শোভন বলেন, আলোকিত ব্লাড ডোনার এর সদস্যরা ছাড়াও উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেচ্ছাসেবীর কাজ করেছেন। তিনি বলেন ভবিষ্যতে স্বেচ্ছাসেবীরা যদি আরো একটু সচেতন হয় তাহলে টিকা প্রদান কার্যক্রম আরো সুন্দরভাবে দেওয়া যাবে। ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.এবিএম মোজাম্মেল হক এর কাছে গণটিকা কার্যক্রমের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বার বার বলা হলেও স্বাস্থ্যবিধির উপর মানুষের তেমন কোন নজর নেই। তিনি আরো বলেন, পুলিশ প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও আনসার সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি পালন করে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে টিকা নিতে সহযোগিতা করছেন। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, পুরো উপজেলায় ৬টি কেন্দ্রে মোট ৩ হাজার ৬শ টি টিকা প্রদান করা হয়েছে।