জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে এক দাদন ব্যবসায়ীদর ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে আদিবাসী দুটি পরিবার। নিজেদের সর্বস্ব বিক্রি করে সুদের টাকা পরিশোধ করলেও পুনরায় সুদের টাকার দাবি করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে প্রভাবশালী দাদন ব্যবসায়ী শফিকুল। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওই দাদন ব্যবসায়ীর ভাড়াটিয়াদের হুমকি ধুমকীতে বাড়ি ফরতে পারছেনা আদিবাসী পরিবার দুটি। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার পাঁচবিবি উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামে। উল্লেখিত এঘটনায় ওপেন উড়াও নামে এক আদিবাসী যুবক প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, প্রায় ৩ বছর পুর্বে ওপেন উড়াও নামে আদিবাসী এক যুবক পাঁচবিবি বালিঘাটা বাজার এলাকার শুকুর আলীর ছেলে দাদন ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের থেকে ২৮ হাজার টাকা সুদের মাধ্যমে নিয়ে ৩ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন। টাকা গ্রহন কালে কৌশলে ব্যাংকের ফাঁকা চেক, ফাঁকা স্ট্যাম্প ও জমির দলিলে স্বাক্ষর নেয় ওই দাদন ব্যবসায়ী। পরবর্তীতে টাকা পরিশোধ করেলেও তাকে কাগজ পত্র ফিরিয়ে না দিয়ে উক্ত চেকে ও স্ট্যাম্পে ৭ লক্ষ, ৫ লক্ষ ও ৩ লক্ষ টাকার অংক বসিয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়ে দেয়। অপরদিকে উপজেলার সুলতাপুর গ্রামের জয়েন্তী রানী পাহান নামে আদিবাসী অপরএক নারী তার ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত হওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে দাদন ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম ঘটনার সদুত্তর না দিয়ে বলেন আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। সে জমি বিক্রির জন্য আমার কাছে টাকা নিয়েছে । পাঁচবিবি উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা বরমান হোসেন বলেন, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত ব্যক্তি যত প্রভাবশালীই হোক বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ হবে। কোন পরিবার যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।