করেনার এই মহামারিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধকালীন সময়ে সকল ধরণের সেশন চার্জসহ সকল ফি মওকুফ এর দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরাসহ সকল শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সকালে ঘন্টা ব্যাপি নগরীর হাতেমআলী কলেজ সিএন্ডবি রোডে তারা অবরোধ করলে সৃস্টি হয় তীব্র যানজট। আর এ কারণে হাতেম আলী কলেজ এলাকা থেকে আমতলার মোড় এবং নথুল্লাবাদ পর্যন্ত সৃস্টি গাড়ির গাড়ির তীব্র লাইনের যানজট। যদিও পুলিশের আশ্বাসে প্রাথমিক অবস্থায় অবরোধ তুলে নেয়া হয় তবে শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা। এ বিষয় ২য় বর্ষের ছাত্র রাসেল মিয়া বলেন, করোনার এই সমযে সবার অবস্থাই খারাপ। তার মধ্রে স্কুল কলেজ বন্ধ রয়েছে। এখন আবার পুনরায় সেশন চার্জ থেকে শুরু করে সকল ফি নির্ধারণ করেছে কলেজ কতৃপক্ষ। যা দেয়া একবারেই সম্ভব নয়। তাই এইসব ফি বন্ধ করতে হবে।এই ক্লাসের শিপন বলেন, করোনার এই সময়ে সরকার সকল কিছু খুলে দিলেও শুধু মাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। যেটি অযৌক্তিক এবং শিক্ষা ব্যবস্থার ভেঙ্গে পরার মতো ঘটনা। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল স্কুল কলেজ খোলার দাবি জানানো হয় এই প্রতিবাদী বিক্ষোভ অবরোধ থেকে। অপর দিকে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ফি কমানোর দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সচেতন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সকাল ১১টায় বিএম কলেজের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা। মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে সাধারণত ছাত্রই আন্দোলন সংগ্রাম করে থাকে। সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ফি কমানোর দাবিতে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা বুধবার কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।প্রায় তিনঘন্টা অবরোধ চলার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ ৬শত টাকা টাকা ফি কমানোর আশ্বাস দেন। কর্তৃপক্ষের এমন আশ্বাস পেয়ে সাথে সাথে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ফিরে যাওয়ার সময় তাদের উপর হামলা করে ছাত্রলীগ নামধারী কতিপয় সন্ত্রাসী। এতে আহত হয় তিন শিক্ষার্থী। বক্তারা ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের উপর এ ন্যাক্কারজনক হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।