চাষী বাঁচলে, বাঁচবে দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। ঘেরের তীরে দেখা মিলছে বাগদা চিংড়ি ও কাঁকড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মরা মাছ। অবাক চোখে চেয়ে আছে ঘের শ্রমিকেরাও। বিশাল লোকসান মাথা নিয়ে ঘের ইজারায় নেয়া মৎস্য ব্যবসায়ীরা। এহেন দূর্লভ চিত্রটি এই মুহুর্তে ঘটছে মহেশখালী উপজেলার কালামারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি এলাকার পশ্চিমে শুদ্ধখালি, আজগর বাপের ঘোনা ও ভরাখালী ঘোনার বিশাল ৩টি চিংড়ি ঘেরে। এসব চিংড়ি ঘেরগুলোতে আকষ্মিকভাবে চলমান অধিকগ্রহণকৃত জমিতে ক্যামিক্যাল দিয়ে সিপিপি নামে একটি প্রতিষ্টান সয়েল টেস্ট’ বা ‘সাব-সয়েল ইনভেস্টিগেশন’ করা দূষিত পানি ছেড়ে দেয়ায় বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি হয়ে মরে গেছে প্রায় কয়েক কোটি টাকার মাছ। এতে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন চিংড়ি ঘের ইজারা নেওয়া মৎস্য ব্যবসায়ীরা। অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, জমি মালিকদের কাছ থেকে হালসনের টাকা দিয়ে বর্গা নিয়ে ওই চিংড়ি প্রকল্পের শুদ্ধখালী ঘোনা ইজারা নিয়েছে মাছ চাষিরা। ঐ ঘেরের পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদ জানান, পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়া চিংড়ি ঘেরের পাড়েই সিপিপি’র লোকজন একধরণের বিষাক্ত ক্যামিক্যাল দিয়ে সয়েল টেস্ট’ করায় মিশ্রিত দূষিত পানি ওসব চিংড়ি ঘেরে প্রবেশের ফলে গত ১ সপ্তাহ ধরে চিংড়ি প্রকল্পের পানিতে বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়ে প্রকল্পের চাষ করা বাগদাসহ হরেকরকম প্রজাতির প্রায় কয়েককোটি টাকার মাছ মরে ভেসে ওঠে আমার প্রকল্পে। মৎস্য চাষি আজগর বাপের ঘের পরিচালক তোফাইল আজম জানান, ‘বিষাক্ত পানি পড়ে আমার চিংড়ি প্রকল্পে প্রায় ৯০লাখ টাকার মাছ মরা গেছে। একইভাবে ভরাখালী ঘোনার পরিচালক আনছারুল করিম রুমিও বলেন, ‘আমার চিংড়ি প্রকল্পের প্রায় ৪০ লাখ টাকার মাছ মরে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাদের দাবী সয়েল টেস্ট করার যন্ত্রপাতি বসানোর পূর্বে একটা মাছও মরে নেই। তাঁরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। সবমিলিয়ে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার মাছ মরে গিয়ে অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা বিষয়টি ¯’ানীয় সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপিকে অবহিত করেছেন। সিপিপি’র মহেশখালীতে দায়িত্বরত সুপার ভাইজার শাহীন বলেন, ‘আমাদের মাটি পরীক্ষায় যে ক্যামিক্যাল ব্যবহার করে হয়েছে তা বিষাক্ত নই, তবে কি কারণে মাছ মরে গেছে সে ব্যাপারে আমি অবগত না। তার পরেও চাষিরা মাছ মরে যাওয়ায় ক্ষতিপূরর্ণের দাবিতে যে অভিযোগ করেছেন তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত ইজারাদার ও মৎস্য ব্যবসায়ী যাতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ক্ষতিপূরণ পাওয়ার উপযোগী সে বিষয়ে অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।