জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ছিটমানিক গ্রামে বাড়ির দরজা লাগিয়ে দিয়ে কবলা ও খারিজকৃত সম্পত্তি জবর দখল করার চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন ছিটমানিক গ্রামের বাসিন্দা মৃত- আব্দুর রহমানের পুত্র অধ্যক্ষ মাওঃ আনিছুর রহমান। শনিবার দুপুরে বড়মানিক বাজারে ছালেকিন ইসলামের ঘরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাওঃ আনিছুর রহমান বলেন, আমি কয়েক খন্ড কবলা দলিল মূলে ছিটমানিক মৌজার ১২৮ দাগে ১ শতক, ১২৯ দাগে ১৩ শতক ও ১৩৪ দাগে ১০ শতক মোট ২৪ শতক সম্পত্তি ক্রয় করি। সম্পত্তি টি আমার নিজ নামে খারিজও করা হয়েছে। জমি খারিজ করার সময় জানতে পারি আমার বসত বাড়ির উত্তর পার্শ্বে আনুমানিক ২ শতক জমি ফাঁকা জায়গা পরে আছে। জমিটি মাপ করার জন্য গত ১১ জুলাই তারিখে ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করি। ইউনিয়ন পরিষদ আবেদনটি আমুলে নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য কে মাপার দায়িত্ব দেন। ইউপি সদস্যসহ গন্যমান্য ব্যক্তিগনের উপস্থিতিতে গত ১৭ জুলাই সার্ভেয়ার দ্বারা মাপ করতে থাকে। জমি মাপ চলাকালে হঠাৎ করে প্রতিপক্ষ মোস্তাকিমুলের পুত্র রাশেদুল ৫-৭ জন ছালেকিন ইসলামকে মারার জন্য চাকু হাতে নিয়ে ধাওয়া করে। ছালেকিন জমি থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এমতাবস্থায় গত ২০ জুলাই ভবিষ্যতে আর কোনদিন এ ধরনের উর্দ্ধত্তপূর্ণ আচরণ করবে না এবং জমি মাপের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সহযোগিতা করবেন মর্মে ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট মুসলেকা দেন রাশেদুল। পরে গত ১১ আগস্ট আবারও সার্ভেয়ার দিয়ে বিবাদমান জমি সীমানা নিধারণ করা হয়। বিষয়টি গ্রাম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এরপরেও ২১ আগস্ট ভোরে রাশেদুল বহিরাগত দলবল নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে বিবাদমান জায়গাটিতে বেড়া দিয়ে ঘিড়তে থাকে।এ সময় আমাদের চিৎকারে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ও প্রতিবেশীরা উপস্থিতি হয়ে রাশেদুল এর দলবলকে বেড়া দেওয়াতে বাধা প্রদান করেন। এভাবে প্রতিপক্ষ রাশেদুল বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে বিচারাধীন সম্পত্তিতে যে বিশৃঙ্খল কার্যক্রম পরিচালনা করছে আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি এবং সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি সংবাদ পত্রে প্রকাশের জন্য আবেদন করছি।