প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠক
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে সরকার। এর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মসূচি ঠিক করছে। শিগগিরই মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে ব্রিফ করা হবে। গতকাল সোমবার (২৩ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা অনলাইনে বৈঠকে যুক্ত ছিলেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এর আগে সচিব সভায় নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আজকেও কথা হয়েছে।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘তারা প্রোগ্রাম ঠিক করছে- কীভাবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব…তারা আপনাদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে বসবে। কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে তা পাবলিকলি বলে দেবে (কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে)।’ করোনা মহামারির কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। দফায় দফায় বাড়িয়ে সর্বশেষ আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে দেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। পরীক্ষাগুলো বাতিল বা পিছিয়ে যাচ্ছে। করোনার এমন বাস্তবতায় বিকল্প উপায়ে টিভি, অনলাইন, অ্যাসাইনমেন্টসহ বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় রাখার চেষ্টা করছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কোভিড টিকা দেওয়া নিশ্চিত করার মাধ্যমে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা জানিয়েছে সরকার।
টিকার দুই ডোজের ব্যবধান কমানোর উপায় খোঁজার নির্দেশ : কোভিড-১৯ টিকার দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান আরো কমিয়ে আনা যায় কিনা, সেটি দেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার (২৩ আগস্ট) মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এ পর্যন্ত প্রায় দুই কোটি ২৪ লাখ করোনার টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৬৬ লাখ ৬১ হাজার ৪১২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪৭৩ জন। টিকার স্বল্পতায় গণটিকাদান কর্মসূচি থেকে সরে এসেছে সরকার। আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, আপাতত গণটিকা কার্যক্রম নয়। নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা নিতে হবে। এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৯৬ লাখ ৬৬ হাজার ৪৪২ আর নারী ৬৯ লাখ ৯৪ হাজার ৯৭০ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৪০ লাখ ৬৮ হাজার ১১৪ আর নারী ২৫ লাখ ৭ হাজার ৩৫৯ জন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।