রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
আমার কথা বলে চাঁদা-সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করলে পুলিশে দিন : আসিফ নজরুল তিস্তার পানি দ্রুত বাড়ছে আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন মাহমুদুর রহমান ঢাকার খাল দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা করছে সরকার : পানিসম্পদ উপদেষ্টা শিক্ষাব্যবস্থায় হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদ বরদাস্ত করা হবে না : মামুনুল হক নৌকা থাকায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন হতে পারে : উপদেষ্টা আদর্শিক ভিন্নতা থাকলেও সবাই একসঙ্গে জাতি গঠনে কাজ করবে: মঞ্জুরুল ইসলাম জাতিসংঘে ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা মাহমুদ আব্বাসের মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ভাষাসৈনিক অধ্যাপক আব্দুল গফুরের দাফন ছাত্র-জনতার অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয় স্বৈরাচার থেকে আমাদের মুক্তি দিয়েছে

১০ টাকা কেজির চাল: যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০ হাজার উপকারভোগী

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট, ২০২১

হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি হালনাগাদ করছে সরকার। এ কর্মসূচির উপকারভোগীদের সংখ্যা ৫০ লাখ হওয়ার কথা থাকলেও এতোদিন ৫০ হাজারের মতো কম ছিল। এখন এ উপকারভোগীদের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মারা যাওয়া ও স্থানান্তর হওয়া উপকারভোগীদের বিচেনায় নিয়ে তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। হালনাগাদ তালিকা অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে তিন মাসের জন্য শুরু হচ্ছে ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’। খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে যে সংখ্যক উপকারভোগী থাকার কথা, সেটার চেয়ে সাড়ে ৪৬ হাজারের মতো কম ছিল। আমরা এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট পেয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে নির্দেশনাও পাঠিয়েছি ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র আওতায় সারাদেশে হতদরিদ্র পরিবারগুলোকে প্রতি মাসে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। বছরে পাঁচ মাস দেওয়া হয় এ সহায়তা।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে নতুন করে অতিদরিদ্র উপকারভোগী অন্তর্ভুক্ত করে সেপ্টেম্বর থেকেই চাল বিতরণের নির্দেশনা দিয়ে গত ১৯ আগস্ট খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, এর আগে খাদ্য অধিদপ্তরের পাঠানো উপকারভোগীর তালিকা অনুসারে সারাদেশে ৪৯২টি উপজেলার তথ্য যাচাই করে দেখা যায় যে, ৫০ লাখ উপকারভোগীর তালিকায় প্রায় ৪৬ হাজার ৫০০ অতিদরিদ্র ব্যক্তিকে তালিকাভুক্ত করা যায়নি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে দেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০১৬ (গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল) প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের নভেম্বরে। ওই প্রকাশনা অনুসারে ২২৪টি উপজেলায় যে পরিমাণ উপকারভোগী থাকার দরকার এর চেয়ে কম রয়েছে। উপজেলা অনুযায়ী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে নতুন করে যে সংখ্যক উপকারভোগী অন্তর্ভুক্ত করা যাবে সে তালিকা করা হয়েছে।
এমতাবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে যথাযথভাবে নীতিমালা অনুসরণ করে আগামী সেপ্টেম্বরে চালু হতে যাওয়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ২২৪টি উপজেলায় ৪৬ হাজার ৬১৫ জন নতুন উপকারভোগীকে অন্তর্ভুক্ত করে খাদ্যশস্য বিতরণের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংগ্রহ ও সরবরাহ অনুবিভাগ) খাজা আব্দুল হান্নান বলেন, ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অধীনে ৫০ লাখ উপকারভোগী থাকার কথা, কিন্তু এর মধ্যে ৫০ হাজারের মতো কম ছিল। সেটা হিসাব করে খাদ্য অধিদপ্তরকে পূরণ করতে বলা হয়েছে। নতুন করে ৫০ হাজার হতদরিদ্র এ কর্মসূচিতে যুক্ত হবেন। এতে সংখ্যাটা ৫০ লাখে গিয়ে পৌঁছাবে।’ তিনি বলেন, ‘আশা করছি আগামী সেপ্টেম্বর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি আবার শুরু হবে। এর আগেই নতুন সুবিধাভোগীরা যুক্ত হয়ে যাবেন।’ খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শেখ মুজিবর রহমান বলেন, ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে যে সংখ্যক উপকারভোগী থাকার কথা, সেটার চেয়ে সাড়ে ৪৬ হাজারের মতো কম ছিল। আমরা এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট পেয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে আমরা নির্দেশনাও পাঠিয়ে দিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় আমাদের উপজেলাভিত্তিক সংখ্যাগুলো দিয়েছে, কোন উপজেলা থেকে কতজনকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, তা দারিদ্র্য মানচিত্র থেকে তালিকা দিয়েছে।’ আগামী সেপ্টেম্বর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হচ্ছে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা আশা করছি এর আগেই তালিকা পেয়ে যাব। আগামী সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চলবে।’ ডিজি আরও বলেন, ‘আগের যে তালিকা সেটিও আমরা আপডেট করতে বলেছি। অনেক মানুষ তো মারাও যায়। তাদের বাদ দিয়ে যেন নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এছাড়া অনেকে স্থান পরিবর্তন করেন সে বিষয়গুলোও বিচেনায় নেওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পল্লী অঞ্চলের কর্মাভাবকালীন মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বরÍএই পাঁচ মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ শুরুর পর তালিকায় স্বচ্ছল ব্যক্তিদের নাম থাকা, বাইরে বেশি দামে চাল বিক্রি করা, ওজনে কম দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভুয়া সুবিধাভোগীদের কার্ড বাতিল, ডিলারশিপ বাতিল, ডিলারদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও বিভাগীয় মামলা, জরিমানাসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। ২০১৭ সালের শুরুর দিকে উপকারভোগীর তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে খাদ্য বিভাগ। এ কর্মসূচির আওতায় সাধারণ চাল ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে পুষ্টি চালও বিতরণ করেছে সরকার।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com