সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বহুল আলোচিত রুপা হত্যার রায় কার্যকর করার দাবিতে বুধবার দুপুরে শহীদ মিনারের সামনে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করে তার পরিবার। মানববন্ধনে রুপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান বলেন, রুপা হত্যাকান্ডের রায় যুগান্তকারী। এরপর চার বছরেও সে রায় কার্যকর না হওয়ায় সংশয় আর হতশা বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত একবারও আপিল শুনানির তারিখ পড়েনি। আইনি জটিলতায় ছোঁয়া পরিবহনের বাসিটিও মধুপুর থানা চত্বরেই পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এদিকে রুপার মা হাচনাহেনা খাতুন বলেন, তার মেয়ে স্বপ্ন দেখতো উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে একদিন বড় কর্মকর্তা হবে। এখন একটাই দাবি, দ্রুত আসামিদের রায় কার্যকর করা হোক। জীবদ্দশায় তিনি আসামিদের রায় কার্যকর দেখে যেতে চান। মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন রুপার ছোট ভাই উজ্জল হোসেন, উজ্জলের স্ত্রী টুম্পা খাতুন প্রমূখ। প্রসঙ্গত: ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট রাতে মধুপুর বনাঞ্চলের রাস্তার ধারে থেকে রুপার লাশ উদ্ধার করে মধুপুর থানা পুলিশ। পরিচয় না মেলায় ২৬ আগষ্ট ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারীশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এরপর ২৭ আগষ্ট নিহতের বড়ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় রক্তাক্ত লাশের ছবি শনাক্ত করেন যে, অজ্ঞাত তরুনীই তার ছোট বোন জাকিয়া সুলতানা রুপা। ৩১ আগষ্ট রুপার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঐদিন রাতেই সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় রুপার লাশ তার গ্রাম আসানবাড়ি কবরস্থানে দাফন করা হয়।