মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন

পাহাড়ে সবুজায়ন বাড়ছে

কাইছার হামিদ মহেশখালী :
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১

পাহাড়ে রোপিত সবুজায়ন প্রকৃতিক নিয়মে বাড়ছে মুক্ত হাওয়ায়। নব সাজে সাজছে সাগর কন্যা দ্বীপের পাহাড়ি এলাকা। কোভিড-১৯ এর প্রকোপে মানুষ যখন ঘরবন্দি, প্রকৃতি তখন উন্মুক্ত। এ সুযোগে দূষণের মাত্রাও কমছে। রোপিত চারাও নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পেয়ে সবুজের রূপ ছড়া”েছ পাহাড়ে। ডালপালা মেলছে দেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালীতে। দেশে বৃক্ষ সম্পদ বৃদ্ধি ও পরিবেশ উন্নয়নের জন্য সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রতিবছর দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান পালন করা হয়। সারিবদ্ধভাবে রোপিত চারা বড় হয়ে প্রতিদিন চেহারা পাল্টে ছাঁয়া দেয়। দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে গাছ লাগিয়ে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করছে। আর সবুজের সমারোহ হয়ে ডালপালা মেলছে রোপিত গাছের পাতা। ধীরে ধীরে বড় হ”েছ গাছ। এতে শুধু যে জনগণের ভাগ্যই পরিবর্তীত হ”েছ তা নয়, দেশের পরিবেশ উন্নয়নেও এ বৃক্ষরাজি বিরাট ভূমিকা রাখছে বলে জানাগেছে। বৃক্ষরোপণ ও বনায়নে সাধারণ ও দরিদ্র মানুষকে সম্পৃক্ত করার জন্য সামাজিক বনায়ন সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। এদিকে বনভূমির ভারসাম্য রক্ষায় সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় “বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত ‘সুফল’ প্রকল্পের আওতায় সফল বনায়নে দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালীর পাহাড় সবুজায়নে ভরে উঠেছে। টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় এই বনায়ন করা হয়েছে। জানাগেছে, “গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান” এ স্লোগানকে সামনে রেখে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগ এর অধীন¯’ মহেশখালী রেঞ্জের শাপলাপুর, কেরুনতলী, মুদিরছড়া, দিনেশপুর ও কালারমারছড়া বিটে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্প এর আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিভিন্ন প্রজাতির ৪৬০ হেক্টর বাগান সৃজন করা হয়। ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬৭০ হেক্টর বাগান সৃজন করা হয় এবং সবুজ বেষ্টনি প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে স্বল্প মেয়াদী ১০০ হেক্টর বাগান সৃজন করা হয়। উক্ত গাছ সবুজ প্রকৃতিতে ভরে উঠছে। তবে এরই মধ্যে শাপলাপুর বনবিটের ধুইল্যাঝিরি, মিঠাছড়ি, মোস্তফা কাটা, মৌলভী কাটা, চাককাটা, জামির ছড়ি, নয়া পাড়া, ষাইটমারা। কালারমারছড়া বনবিটের নয়াপাড়া, ঝাপুয়া, আঁধারঘোনাসহ বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় রোপিত গাছ সুন্দয্য বর্ধন দেখে প্রাণ জুড়াবে। মিশ্র প্রজাতির দ্রুত বর্ধনশীল বাগান, ধীরে ধীরে বর্ধনশীল বাগান, এনরিচমেন্ট বাগান, ষ্ট্যান্ড ইম্প্রুভমেন্ট বাগান, এএনআর বাগান, বেত বাগান ও বাঁশ বাগান সহ সাত ধরনের বাগান সৃজন করা হয়েছে। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে পাহাড়ে এসব চিত্র দেখা গেছে। মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা অভিজিত বড়ুয়া বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে দীর্ঘমেয়াদি বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় এই পাহাড়িদ্বীপে বনায়ন করা হয়েছে। আর পাহাড়ী এলাকায় সফল বনায়নের ফলে গাছের ডালপালা মেলে সবুজয়ান হ”েছ। তিনি নি¤েœর ‘টমাস ফুলার’ উক্তিটিও বলেন যে বৃক্ষ রোপন করে, সে নিজেকে ছাড়াও অন্যকে ভালবাসে। চট্টগ্রাম উপকূলীয় বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম গোলাম মওলা বলেন, পাহাড়ে রোপণ করা গাছে বনবিভাগের লোকজনের পরিচর্যার কারণে গাছের ডালপালা দিন দিন মেলতে শুরু করেছে। আর বৃক্ষরোপণ ও বনায়নে সাধারণ ও হতদরিদ্র মানুষকে সম্পৃক্তা করার জন্য সামাজিক বনায়ন সরকার এ মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com