আজ শুভ জন্মাষ্টমী, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আরাধ্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন। দেশের হিন্দু স¤প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করবে। নভেল করোনাভাইরাসের কারণে এবার জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান যথারীতি ধর্মীয় রীতি অনুসরণ করে পূজা-অর্চনার মাধ্যমে পালিত হলেও তা মন্দিরাঙ্গনে সীমাবদ্ধ থাকবে। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সব ধরনের সমাবেশ, শোভাযাত্রা বা মিছিল করা থেকে বিরত থাকারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠায় ধরাধামে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। তার আবির্ভাব বিশ্বের ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা করে। নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষকে রক্ষায় তিনি পরিত্রাতার ভূমিকা পালন করেন, অন্ধকার সরিয়ে পৃথিবীকে আলোয় উদ্ভাসিত করেন।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনসহ বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলে স¤প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠান। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জন্মাষ্টমী উপলক্ষে পৃথক বাণীতে হিন্দু স¤প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপনে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে একদিনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সকালে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মঙ্গল কামনায় শ্রী শ্রী গীতাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে ও রাতে শ্রী শ্রী কৃষ্ণ পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পুরো অনুষ্ঠান সরকার নিদের্শিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠে এ উপলক্ষে গীতাপাঠের আয়োজন করা হয়েছে। অন্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ভজন, মধ্যাহ্নে প্রসাদ বিতরণ, রাতে গুরু মহারাজের বাণীবচন ও শ্রীকৃষ্ণ পূজা। মন্দিরে আসন গ্রহণ ও প্রসাদ গ্রহণের সময় ভক্তদের স্বাস্থ্যগত ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরিধান আবশ্যক বলে মঠের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, দ্বাপর যুগের শেষভাগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মথুরায় কংসের কারাগারে শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, কৃষ্ণ ছিলেন স্বয়ং ঈশ্বর। দুষ্টের দমন করে পৃথিবীতে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি মানুষরূপে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন।