কুমিল্লার দেবিদ্বারে গোমতী নদীর ভেরীবাঁধ সংলগ্ন এক শতাংশ জমির দখল বুঝে নিতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্ততঃ ১০জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ৬নং ফতেহাবাদ ইউনিয়নের লক্ষèীপুর গ্রামের গোমতী নদীর ভেরীবাঁধ সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭ শতাংশ জমির পাশের এক শতাংশ জমির দখল বুঝে নেয়াকে কেন্দ্র করে ওই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা যায়। এসময় মারাত্মক আহতদের মধ্যে লক্ষèীপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের পুত্র নূর নবী(৩৫) ও আবু মুছা(২৯), বাবুল হোসেন’র পুত্র আব্দুল্লাহ-আল-নোমান(২১), মৃত: আলী হোসেন’র পুত্র মোঃ শাহ আলম(৯০)সহ ৪ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং মৃত; কেরামত আলীর পুত্র আব্দুল মতিন(৬৫)কে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। অপরদিকে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আহতদের হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত; আলী হোসেন’র পুত্র তব্দল হোসেন(৫৫) ও ময়নাল হোসেন(৪৫)’র নেতৃত্বে পুন:রায় ওই জমি দখলের চেষ্টাকালে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তব্দল হোসেন(৫৫) ও ময়নাল হোসেন(৪৫)কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন বলে স্থানীয়রা জানান। স্থানীয় আব্দুল ওয়াদুদ ও মোঃ ফরিদ উদ্দিন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিরা জানান, লক্ষèীপুর গ্রামের গোমতী নদীর ভেরীবাঁধ সংলগ্ন মুকশত আলীর ২৫ শতাংশ জমি ছিল। পাকিস্তান আমলে ওই জমির ২ শতাংশ খালে চলে যায়, বাকী ২৩ শতাংশের মধ্যে আলী হোসেন ৮ শতাংশ এবং আব্দুল মজিদ ১৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। আলী হোসেন’র ৮ শতাংশ জমির মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৭ শতাংশ জমি একোয়ার করে নেয়। বাকী এক শতাংশ জমির মালিকানা নিয়ে আব্দুল মতিন ও আব্দুল হাকিম’র মধ্যে দ্বন্দ্ব চলতে থাকে। আব্দুল মতিন দাবী করছেন ওই এক শতাংশ জমি নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পের মাধ্যমে ক্রয় করা এবং মোঃ ময়নাল হোসেন’র দাবী ওই জমি ষ্ট্যাম্পের মাধ্যমে বিক্রয় করা হয়নি, তাই এ জমির মালিক আমরা। এছাড়াও ওই বিরোধপূর্ণ এক শতাংশ জমির পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিত্যাক্ত একোয়ার করা ৭ শতাংশ জমির এক শতাংশ জমির অন্তরালে দখল বুঝে নিতেই এ দ্বন্দ্ব চলে আসছে। দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আরিফুর রহমান জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় দু’জন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েূছে। তবে দুই পক্ষ মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।