রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১৪ অপরাহ্ন

টঙ্গীবাড়িতে স্থায়ীভাবে জোরা ব্রীজের এপ্রোচ না করায় ফের ধ্বস

হুমায়ন কবির মুন্সীগঞ্জ :
  • আপডেট সময় সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় গত এক বছরের অধিক সময়ের আগে বন্যার পানির স্রোতে ভেঙে যায় উপজেলার বাইনখাড়া জোরা ব্রিজটি। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের উপর নির্মিত জোরা ব্রিজের এপ্রোচ গত এক বছরেও স্থায়ীভাবে সংস্কার না করায় ফের ধসে পড়েছে। মঙ্গলবার রাতের দিকে ফের আবারো ধ্বসে যায় জোরা ব্রিজের এপ্রোচটি।এতে চরম বিপাকে পডেছে ওই রাস্তায় যাতায়াতকারী প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ। মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কামারখাড়া-হাসাইল সড়কের বাইনখাড়া এলাকার ওই জোরা ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এর আগে ২০২০ সালের ১৫ জুলাই ওই সংযোগ সড়কের জোরা ব্রিজের গোড়ার মাটি পানির তীব্র স্রোতের কারণে ধসে যায়। এতে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ওই ব্রিজের গোড়ায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে রাখা হলেও তার উপর দিয়ে মানুষ পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে পারতো। তবে যান চলাচল বন্ধ ছিল। কিন্তু উজান হতে নেমে আসা ঢলের পানিতে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার ওই ব্রিজ সংলগ্ন পদ্মা নদীতে পানির স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় স্রোতের তোড়ে আবারো ভেঙে গেছে ব্রিজের এপ্রোচ। এপ্রোচ ধ্বংসের কারনে উপজেলার বাইনখাড়া, নশংকর, কামারখাড়া, ভাঙ্গনিয়া, হাসাইল, আদাবড়ি, বরাইল, চৌসার, ভিটিমালধাসহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষের সঙ্গে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর ও ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, পানির তীব্র স্রোতের কারণে এই সেতুটির গোড়ার মাটি বেশ কয়েকবার ধসে পড়ে যায় য়ার ফলে জনগণের চরমভূগান্তি। প্রায় ১২ বছর আগে নদী-সংলগ্ন বাইনখাড়া এলাকার লোকজন নিজেদের উদ্যোগে সেতুটির নিচে দেওয়াল নির্মাণ করে স্রোত প্রবেশ বন্ধ করে।
কিন্তু গত বছর বন্যার কারণে সেতুটি ভেঙে যায়। এছাড়া সেতুর অ্যাপ্রোচ শক্ত না করে নিচের দেওয়াল ভেঙে ফেলাকে প্রশাসনের ভুল পরিকল্পনা বলে প্রশাসনকে দায়ী করেন জনগণ। জরুরি ভিত্তিতে অ্যাপ্রোচ সংযোগ করে সেতু দিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করে জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানান স্থানীয় এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে স্থানীয় কামারখাড়া ইউপি সদস্য মোঃ পলাশ বলেন, গতরাতে ব্রিজের এপ্রোচ আবারো ভেঙে গেছে। আগে মানুষ পায়ে হেঁটে পারাপার করতে পারলেও এখন তাও বন্ধ হয়ে পড়ছে। এখন নৌকা দিয়ে মানুষ পাড়াপার করতে হচ্ছে ।এতে মানুষ চরম ভোগান্তি হচ্ছে। ও অতিরিক্ত নৌকা পাড়াপারের জন্য টাকা দিতে হচ্ছে। এব্যপারে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে প্রকৌশলীকে এ ব্যাপারে অবহিত করলে প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় এম পি মহোদয় কে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com