গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পশ্চিমপাড়া-কান্দি সড়কের কান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম খোরশেদ আলম রাইস মিল থেকে কাচারীভিটা সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে। ভ্যান, ইজিবাইক ও ছোট ছোট পণ্যবাহী পরিবহন যাতায়াতে চরম দূভোর্গ পোহাতে হচ্ছে। এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই দূভোর্গে পড়ে সড়কটি দিয়ে যাতায়াতকারী কান্দি ইউনিয়নের মাচারতারা, লেবুবাড়ি, পূর্ব ধারাবাশাইল, কান্দি, কাচারীভিটাসহ প্রায় ১০টি গ্রামের শত শত মানুষ। সরেজমিনে জানাগেছে, সাড়ে ৬কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই সড়কটিতে গত ৩বছর আগে স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে এইচবিবি করণ করা হয়। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সড়কটিতে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। যার ফলে প্রতিনিয়ত স্থানীয় জনগনদের নানা দূর্ভোগের মধ্যেও সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। মাচারতারা গ্রামের পোল্ট্রি ও মৎস্যচাষী হাজী মোঃ রুহুল আমিন চাঁদ বলেন, আমাদের এই এলাকায় প্রায় দু’শতাধিক পোল্ট্রি সেড ও শতাধিক মাছের ঘের রয়েছে। এসব ঘেরপাড়ে প্রচুর সবজি উৎপাদন হয়। উৎপাদনকৃত সবজি, মাছ, মুরগি ও ডিম নিয়ে চাষীরা এই সড়কটি দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়। সড়কটিতে খানাখন্দের ভরপুর থাকায় এসব চাষীদের যাতায়াতে প্রতিদিন সমস্যায় পড়তে হয়। আর এই সমস্যার কারণে পণ্য পরিবহনে খরচ অনেক বেড়ে যায়। যার কারণে চাষীরা অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। একই গ্রামের ভ্যান চালক মেহেদী দাড়াই বলেন, এই সড়কটি দিয়ে ভ্যান চালিয়ে আমি আমার জীবিকা নির্বাহ করতাম। সড়কটিতে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এখন আর ভ্যান চালাতে পারছি না। আমরা এলাকাবাসী সড়কটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। উপজেলা প্রকৌশলী দেবাশীষ বাগচী বলেন, সড়কটি কার্পেটিংয়ের জন্য ইস্টিমেট করে পাঠানো হয়েছে। আশা করি এই অর্থ বছরেই সড়কটি কার্পেটিং হবে।