প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ৭৪ টাকা ও প্যাকেট চিনির দাম ৭৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিল মালিকদের বৈঠকে এ দাম নির্ধারণ করা হয়। বৈঠক শেষে অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সাংবাদিকদের এ দাম নির্ধারণের বিষয়টি জানান। এই সিদ্ধান্ত আগামীকাল শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি।
স¤প্রতি খুচরা বাজারে খোলা চিনি ৮০ টাকা ও প্রতি কেজি প্যাকেট চিনির দাম ৮০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এই প্রেক্ষাপটে প্রথমবারের মতো চিনির দাম বেঁধে দিল সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সফিকুজ্জামান বলেন, ‘চিনির দাম বেড়ে ৮০ টাকায় উঠে গিয়েছিল। আমরা কেজিতে পাঁচ টাকা করে দাম কমিয়েছি। এখন থেকে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৭৪ টাকা ও প্যাকেট চিনি ৭৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হবে।’ আজ শুক্রবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগস্টের এলসির মূল্য বিবেচনায় নিয়ে এই দামটা ঠিক করেছি। গড়ে প্রতি টন ৪১৯ ডলার ধরে কাজ করেছি। আজকে বাজারে ঢুকলে দেখা যাবে যে প্রাইসটা প্রায় ৫০০ ডলারের কাছাকাছি চলে গিয়েছে। সেজন্য পূর্বাভাস করা মুশকিল। চিনির দাম প্রতি মাসে ঠিক করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এই দামের ওপর ভিত্তি করে মিল গেট ও পাইকারি পর্যায়ে দাম আনুপাতিক হারে আমদানিকারকরা ঠিক করবেন জানিয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, ‘আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে দাম কার্যকরের বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তদারকি করবে। একদিনেই হয়তো নতুন দামে পৌঁছানো যাবে না। তবে নতুন করে করে বাজারে যেসব চিনি আসবে সেগুলো নতুনভাবে নির্ধারিত দামেই বিক্রি করতে হবে।’ আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ডালের দামে হস্তক্ষেপ করা হবে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘মহামারির প্রভাবে এখন জাহাজের ভাড়া প্রায় ৩৬০ শতাংশ বেড়েছে। ডালের দামও বেড়েছে। পশ্চিমের যেসব দেশ থেকে আমরা এসব পণ্যগুলো সংগ্রহ করি সেখানে মহামারির কারণে বাজার অস্থির হয়েছে। এসব বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।’ বৈঠকে চিনি উৎপাদনকারী সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, দেশবন্ধু গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।