কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের মধ্য কাশীপুর গ্রামের গোলেনুর বেওয়া(৯৫)। দীর্ঘ ছয় বছর থেকে পঙ্গুত্ব বরণ করে অচল হয়ে পড়ে আছেন ছেলের বাড়িতে। একদিকে চিকিৎসা অপরদিকে ভরণপোষণ, এই দুই নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তিনি। ৬ বছর আগে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পিছলে পড়ে কোমরের সাকো নড়ে যায়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করলেও সেটি ভালো না হওয়ায় পঙ্গুত্ব বরণ করে গোলেনুর বেওয়া। গোলেনুর বেওয়ার ছেলেরা নিত্যান্তই গরিব। সহায় সম্বল বলতে ১১ শতাংশ ভিটে মাটি ছাড়া আর কিছুই নাই তাদের। ছেলের বাড়িতে ভালোই কাটছিল গোলেনুর বেওয়ার জীবন। কিন্তু হঠাৎ তাদের কাল হয়ে দাঁড়ায় গোলেনুর বেওয়ার পঙ্গুত্ব । এই রোগের কবলে পড়ে অসহায় হয়ে পড়ে পুরো পরিবার। অর্থের অভাবে ভালো চিকিৎসা করতে না পারায় পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে তাকে। দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলে দিনমজুরের কাজ করে আর এক ছেলে পাবনায় একটি ম্যাচে বাবুর্চির কাজ করে কোনোরকমে দিন পার করছেন। উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নে মধ্যকাশীপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়,ছেলের বাড়ীতে একটি টিনের ঘরে শুয়ে আছেন গোলেনুর বেওয়া। কোমর থেকে পা পর্যন্ত অবশ হয়ে যাওয়ায় তিনি চলাফেরা করতে পারেন না। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে সবসময় শুয়ে থাকতে থাকতে পিঠে ঘা হয়ে গেছে। চলাফেরা করতে না পারায় দিন রাত ঘরে পড়েই থাকতে হচ্ছে। তাইতো পৃথিবীটাকে নতুন করে দেখতে সরকারসহ সমাজের দানশীল, ও হৃদয়বানদের কাছে একটি হুইল চেয়ার পাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন তিনি।