নীলফামারী জলঢাকা পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হলেও বেহাল এ সড়ক সংস্কারের নেই কোনো উদ্যোগ। সড়কের মধ্যে ছোট বড় গর্ত। একটু বৃষ্টি হলে বোঝা দায়,এটা খাদ না রাস্তা!পৌর অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে জলঢাকা পৌরসভা স্থাপিত হয়। এর আয়তন:২৮.২২ বর্গ কিঃমিঃ। মোট পরিবারের সংখ্যা:১০৩১৬ টি। ওয়ার্ড এর সংখ্যা ৯ (নয়) টি। পৌরসভার মোট রাস্তা ১৪৭.৭ কিঃমিঃ।কাঁচা রাস্তা ৯৪.৫ কিঃমিঃ। হেরিং বন্ড রাস্তা ৩ কিঃ মিঃ।বিটুমিন কার্পেটিং রাস্তা ৪৯.৭ কিঃ মিঃ। আর সিসি রাস্তা ০.৫০০ কিঃ মিঃ।২০০১ সালে খ গ্রেডের মর্যাদা পায় এ পৌরসভা।৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ সড়কের বেহাল অবস্থা।দীর্ঘ দিন কাজ না হওয়ায় এসব সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট বড় গর্তে পরিনত হয়েছে। এছাড়া লক্ষ্য করা গেছে ,সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের গেট থেকে বটতলী সড়ক পর্যন্ত এই সরকটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সহ সাব-রেস্ট্রি অফিসের কাজে শত-শত লোককে যাতায়াত করতে হয়।উল্লেখ যে একটু বৃষ্টি হলেই এই রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় পানি জমাট বেঁধে চালাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে। তাছাড়া এ সড়কটির অধিকাংশ জায়গার কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্তে পরিনত হয়েছে এতে করে এলাকার সাধারণ জনগনকে চলাচলের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়াও পৌরসভার স্থায়ী বাসিন্দা কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা বলেন আমাদের ভালো রাস্তা ঘাট দরকার। আমরা একটু শান্তিতে চলাফেরা করতে চাই, কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা যায় না। তাই আমরা আশাবাদী পৌর মেয়র উন্নয়ন বান্ধব এই রাস্তা গুলো খুব দ্রুত সংস্থার করে চলাচলের উপযোগী করে তুলবে। এছাড়া পৌরসভার মুদি পারার ৬নং ওয়ার্ড এর স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ বেলাল হোসেন(৫৬) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে কাজ না হওয়ায় এবং পানি নিষ্কাসন ব্যাবস্হা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমাট বেঁধে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে। সবুজ পাড়া সড়কের ও একই অবস্থা। বাসষ্ট্যান্ড শৌচাগার থেকে আলহেরা এডুকেয়ার হোম যাওয়ার কাঁচা রাস্তাটি একই অবস্থা বৃষ্টি হলে পানি জমাট বেঁধে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ জেনারুল ইসলাম(৩৬) জানান, আলহেরা থেকে পান্তাপাড়া পর্যন্ত কাঁচা সড়কে একটু বৃষ্টি হলে পানি জমাট বেঁধে কাদায় পরিণত হয়। এতে করে এই এলাকার সাধারন জনগন কে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এই কাঁচা সড়কটি কে যদি পাকা সড়কে রুপান্তরিত করা যায়। তাহলে এই এলাকার সাধারণ জনগন অনেক উপকৃত হবে। সড়ক সংস্কার নিয়ে পৌর মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলুর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, করোনার কারনে বর্তমানে আমরা এখনও কোন বরাদ্দ বা প্রকল্প পাই নি।বরাদ্দ বা প্রকল্প পেলে পৌরসভার যে সমস্ত রাস্তা-ঘাট নষ্ট হয়েছে তা খুব দ্রুত সংস্থার ও মেরামত করবো বলে আমি আশা রাখছি। পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী এস এম আলেকজেন্ডার এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এবিষয়ে মেয়র মহোদয় এর সাথে কথা হয়েছে।তিনি পৌরসভার সমস্ত রাস্তা ঘাট সার্ভে করতে বলেছিলেন আমরা সার্ভে করেছি।আর এখন বর্তমানে আমাদের হাতে কোন প্রকল্প নেই। যার কারনে কোথাও সংস্থার করা সম্ভব হচ্ছে না।আমরা প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে নথিপত্র পাঠিয়েছি। এর মধ্য যদি কোন প্রকল্প পাওয়া যায় তাহলে এই রাস্তার কাজগুলো সংস্থার করা সম্ভব হবে।