মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এই শ্লোগনকে সামনে রেখে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী কুমিল্লার দেবিদ্বারে বিদ্যুৎসংযোগ প্রত্যাশী গ্রাহকদের আবেদন ছাড়াই এখন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে। দেবিদ্বার জোনাল অফিস (কুমিল্লা পবিস-১) গত ১বছরে ৪৫০টি পরিবারকে আবেদনের সাথে সাথে আলোর ফেরিওয়ালার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়। ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ ভ্রাম্যমাণ ভ্যানের মাধ্যমে ভ্যান গাড়িতে মিটার, তার ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়ে লাইনম্যানরা প্রতিদিন বিভিন্ন ইউনিয়নে ছুটছেন। সোমবার বিকালে পৌর সদরের বারেরা এলাকায় গ্রাহক অধ্যক্ষ তোফায়েল হায়দার এর মাদরাসা ও আবুল কাশেম সরকারের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ এর এই দৃশ্য চোখে পড়ে। যাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই তাদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ ব্যানার লাগানো ভ্যান। ঘরে ওয়ারিং করা থাকলে কোনো ঝামেলা ছাড়াই সংযোগ ফি ও জামানত বাবদ গ্রাহককে তাৎক্ষণিক মাত্র ৫৫০ টাকা পরিশোধে রশিদের মাধ্যমে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে বিদ্যুৎসংযোগ দেয়া হচ্ছে। বারেরা গ্রামের নতুন বিদ্যুৎ লাইন পাওয়া গ্রাহক তোফায়েল হায়দার বলেন, ‘আজ আমার মাদসায় নতুন বিদ্যুৎ লাইন পাইছি, আমার ফটো ও কাগজ দিতে কিছু সময় দেরি হইছে কিন্তু বিদ্যুৎ লাইন পাইতে মাত্র ১০ মিনিট সময় লাগছে। তবে আজ থেকে ১০ বছর আগেও বিদ্যুৎ পাওয়াটা ছিল মানুষের জন্য স্বপ্নের ব্যাপার। দিন রাত ২৪ ঘণ্টায় যে এলাকার মানুষের ভাগ্যে বিদ্যুৎ জুটতো মাত্র ৪/৫ ঘণ্টা, বাসাবাড়ি কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের লাইন নিতে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এমনকি বছর পেরিয়ে গেলেও মানুষ কাঙ্খিত বিদ্যুৎ পায়নি। হাজার হাজার টাকা দিয়েও যেখানে মানুষের কপালে জোটেনি বিদ্যুতের লাইন সেখানে মাত্র ১০ মিনিটে ঘরে বসেই পাচ্ছে বৈদ্যুতিক লাইন। এ যেন সত্যিই স্বপ্ন। ধন্য বাদ জানাই দেবিদ্বার পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে। দেবিদ্বার জোনাল অফিসের ডিজিএম মৃনাল কান্তি চৌধুরী জানান, বর্তমান সরকারের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এই কর্মসূচিকে বাস্তবায়ন করতে নতুন গ্রাহকদের বিনামূল্যে খুঁটি, তার ও অন্য সরঞ্জাম প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা শতভাগ সংযোগ প্রদান করতে সক্ষম হয়েছি। তবে যারা নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে ইচ্ছুক তাদের আলোর ফেরিওয়লার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক এই বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে। তবে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।