এককভাবে বাংলাদেশ ২০২৪-২০৩১ সাল চক্রে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে আগ্রহী। এ সময়ে মোট আটটি আইসিসি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এই চক্রে শ্রীলঙ্কার সাথে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সাথে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হওয়ার জন্য আবেদন করেছে বাংলাদেশ। কারণ আইসিসি ইতোমধ্যে সদস্যদের সম্ভাব্য আয়োজক হিসেবে প্রাথমিক প্রস্তাব জমা দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ২০২৪-২০৩১ চক্রের মধ্যে আট দলের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ইভেন্টের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত আছে- দু’টি আইসিসি পুরুষ বিশ্বকাপ, চারটি আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এই অবস্থার কথা জানিয়ে বলেন, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় স্টেডিয়াম বাংলাদেশে রয়েছে।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বোর্ডের বৈঠকের পর পাপন বলেন, ‘আমরা এককভাবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য প্রস্তাব জমা দিয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘কারণ আমরা মনে করি, আমাদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক স্টেডিয়াম আছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য আমরা যৌথভাবে শ্রীলঙ্কার সাথে আবেদন করেছি। কারণ আমাদের কাছে যে সংখ্যক স্টেডিয়াম রয়েছে, এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য যথেষ্ট নয়। একই সাথে, ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য, আমরা যৌথভাবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সাথে আবেদন করেছি।’
পাপন আরো জানান, টুর্নামেন্ট আয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পেয়েছে বিসিবি। তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমতি দিয়েছেন। তিনি নিজেই প্রস্তাবের চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন এবং আইসিসিকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার সব দায়িত্ব নেবে। যখন তিনি অনুমতি দেন, তখন আর কোনো বাধা নেই।’ এর আগে ১৯৯৮ সালে মিনি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। যার নাম ছিল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম আয়োজন করা আইসিসি টুর্নামেন্ট। এরপর ভারত ও শ্রীলঙ্কার সাথে ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সাথে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ।