শরতের শুভ্রতা এ যেন জানিয়ে দেয় দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। আর মাত্র কয়েকদিন বাদেই দুর্গাদেবী মন্ডপে আসন নেবেন। সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার মন্দিরে মন্দিরে প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে জোরেশোরে। এবারে প্রতিমা তৈরীর সরঞ্জামাদির মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা, অপরদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপন করার আহ্বান প্রশাসনের ।নাওয়া খাওয়া ছেড়ে একাগ্রচিত্তে জোরেশেরে কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এ উপজেলার প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা। তাই সঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে শিল্পীদের কেউ মাটির মন্ড তেরী করছেন, কেউ লেপন করছেন আর কেউবা শিল্পীর নিপুন হাতে তৈরী করছেন প্রতিমার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ।নারী ও শিশুরাও সহযোগীতা করছেন কারিগরদের এই প্রতিমা তৈরীর কাজে। কয়েকদিন পরেই ঢাক, ঢোল, বাঁশি আর মুহু মুহু উলুধ্বনিতে মূখরিত হয়ে উঠবে৭০টি মন্ডপের চারপাশ। দুর্গাদেবীর আশীর্বাদে জগতের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি লাভের আশায় ধুপদানী হাতে ভক্তরা উপস্থাপন করবে আরতি নৃত্য। নতুন পোষাক পরিধান করে সনাতন ধর্মালম্বী নারী পুরুষ ও শিশুরা মন্ডপে মন্ডপে ঘুরে দূর্গতিনাশিনী দেবীর চরণে অর্পণ করবে ভক্তির পুষ্পার্ঘ্য। উপজেলার ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কুটি চন্দ্রখানা বৈরাগীটারীর শিল্পী মনোরঞ্জন জানান, আমি একজন স্কুল ছাত্র আমি কুড়িগ্রাম পলিটেকনিকেল ইনষ্টিটিউটে পড়ি, জীবনের প্রথম এইবার আমি প্রতিমা তৈরি করছি ইতিমধ্যে আটটি প্রতিমার অর্ডার পেয়েছি। ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত এ প্রতিমার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এবার কম লাভ হবে মনে হয়। শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের প্রতিমা কারিগর অমূল্য চন্দ্র জানান, এবারের সাতটি প্রতিমার অর্ডার পেয়েছি, প্রতিমা তৈরির সরঞ্জামাদি দাম বেশি হওয়ায় এবারে কম লাভের মুখ দেখবো। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক শ্রী ভারত চন্দ্র রায় জানিয়েছেন, এ বছর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৭০টি মন্ডপে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী অক্টোবর থেকে দুর্গাপুজা শুরু হবে। এবছর দেবী দুর্গা ঘোড়ায় আগমন ও দোলায় গমন করবেন। ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ রাজীব কুমার রায় জানান, এবারে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৭০টি পূজা মন্ডবে যাতে সুশৃংখল শান্তি ভাবে পূজা উদযাপন করতে পারে। সেজন্য ফুলবাড়ী থানার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ১৬ টি মোটরসাইকেল টিম অনবরত মাঠে থাকবেন।