মুখে যার এভারেস্ট জয়ের দিগ বিজয়ী হাসি বয়স যে একটি সংখ্যা তা প্রমাণ করে বিয়ের পিঁড়িতে প্রায় শত বর্ষী ১০০ বছরের বৃদ্ধ বর। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মির্জা বাড়ি ইউনিয়নের আম্বারিয়া গ্রামের মৃতঃ- নছর কুটালের ছেলে নান্নু কুটাল ১ এক ছেলে ২ দুই মেয়ের জনক জীবম সায়নে জীবনের নতুন গল্প লিখতে তার জীবন সঙ্গিনী হিসেবে পার্শ্ববর্তী টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের দয়ারাম বাড়ি দোয়ানি পাড়া গ্রামের সত্তুর বৎসর বয়সী বৃদ্ধা মৃতঃ- দুদু শেখের মেয়ে, ১ এক ছেলে ২ দুই মেয়ের জনক সাহারা বেগম এর সাথে গতকাল মোঃ আব্দুল হামিদ এর ঘটকালিতে আলমগীর এর ওকালতিতে ৫০,০০০ টাকা বিয়েতে দেনমোহর ধার্য করিয়া এই বিবাহ সম্পন্ন করা হয়। এই বিয়েতে বর এবং কনের ছেলে মেয়ে সহ তাদের নাতি, নাতনি ওরাও উপস্থিত ছিলেন। এ এক অন্য রকমের বিয়ে যারা আজীবনের সায়নে শেষ দিকে এসে বাঁধ লেন জীবনের গল্প। এই ব্যতিক্রমী বিয়ের সাক্ষী হতে দূরদূরান্ত থেকে আসা মানুষের ঢল জমে কনের বাড়িতে। এসময় বর নান্নু কুটাল সাংবাদিক দের বলেন, নাতি-নাতনিরা আমাকে বিয়ে করাইছে, এতে আমি অনেক খুশি হইছি। ছেলে মেয়েরা যাঁর যাঁর মতে বিন খায়। আমার খাওয়া-দাওয়া থাকায় খুব সমস্যা হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে এই বিয়েটি হওয়ার কারনে সমস্যা গুলো এখন দূর হবে ইনশাআল্লাহ। আন্নেরা বেবাগী আমাগোর জন্য দোয়া করবাইন। শেষ বয়সে যেন আল্লাহর রহমতে সুখে শান্তিতে থাকতে পারি। কনে শাহারা বেগম বলেন, জীবনের শেষর দিকে এসে এমন হবে ভাবিইনি তবে জীবন মৃত্যু বিয়ে এসব আল্লাহ হাতে তবে আল্লাহ যা করে তাই মঙ্গল। আমি নাতি নাতনির কথা আমও এই বিয়েতে মদ দিয়েছি। শেষ বয়সে এসে এই সিদ্ধান্ত নিছি আপনারা সকলেই আমাদের জন্য দুয়া করবেন। গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আব্দুল জলিল জানান,ছেলে মেয়ে দুজনই অসহায় এক জনের স্বামী নেই আরেকজনের বউ নেই। ছেলে নান্নু কুটাল দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদেরকে বলে আসছেন একটি বিয়ের কথা।অনেক সয় সম্পত্তি থাকলেও রান্না বারা খাওয়ার খোব কষ্ট দীর্ঘদিন যাবৎ তখন আমরা গ্রামের সকলে মিলেই এই বিয়েটির আয়জন করি। এতে করে দুই পক্ষই অতাত্ত্বিক খোশি হয়েছে। ধোপা খালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ- আকবর হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদেরকে বলেন, বিয়ের বিষয় টি আমি জানি শেষ বয়সে এসে দুজনই অসহায়ত্ব হয়ে পড়ে আছেন, বিয়েটি দুই ফেমিলির অনুমতি সাপেক্ষেই হয়েছে।