শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০১:০৫ অপরাহ্ন

গাইবান্ধা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সাফল্য

রানা সরকার গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২১

একজন সফল ও গরীব-দুঃখী অসহায় মানুষের নেতা। গাইবান্ধা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার আতা প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন থাকে। কিন্তু স্বপ্নের পথে পা বাড়ালেই একের পর এক আসতে থাকে নানা প্রতিবন্ধকতা। যে ব্যক্তি এসব প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে সামনে এগিয়ে যাবেন তিনিই হবেন সফল মানুষ এমনই একজন সমাজ সেবক এর কথা বলছি। যিনি অনেক বাধাঁ ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে সফল রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত আজ। তিনি হলেন গাইবান্ধা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা ঘুড়িদহ ইউনিয়নের টানা ১৪ বছরের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান সরকার আতা গাইবান্ধা জেলাসহ উপজেলা গুলোর সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। আতাউর রহমান সরকার আতা করোনা ভাইরাস মহামারির কারনে বিশ্বের তথা দেশের মানুষ যখন দিশেহারা জিবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্মুখযোদ্ধা হিসাবে কাজ করেছেন। অক্লান্ত পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সঠিক ও সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। গাইবান্ধা জেলার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তার নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ। গাইবান্ধা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নিজ এলাকার উন্নয়নে মহা-পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। গৃহিত পরিকল্পনার আলোকে তিনি একের পর এক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সরেজমিন গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, বর্তমান জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান সরকার আতা পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী ছোট বেলা থেকেই একজন সহজ-সরল মনের অধিকারী দানশীল ও মেধাবী মানুষ। যার ফলে ইউনিয়ন পরিষদের টানা ১৪ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদে ভোট করেই গাইবান্ধা জেলাবাসী তাকে বিপুল ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে একাধারে জেলার উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। সামাজিক সচেতনতা এবং মানবিক সেবার অনন্য উদ্যোগ তাকে একজন মানব দরদী ও মহতী মানুষের উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছেন। তিনি জেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠির উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তিনি এ পর্যন্ত জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়নসহ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, মসজিদ, ঈঘগাঁমাঠ সংস্কার করেছেন। এছাড়াও তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর নিয়মিত অফিস এবং স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবধানে প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজ অতি দক্ষতার সাথে সফলভাবে সম্মন্ন করে যাচ্ছেন, যা এখনও চলমান আছে। বাকী দিনগুলো কর্মদক্ষতা, সততা ওনিষ্ঠার সাথে গাইবান্ধা জেলার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আধুনিক মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তুলবেন বলে প্রত্যাশা করেন গাইবান্ধা জেলাবাসী। অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ ও সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক তিনি। ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত ন¤্র, ভদ্র, সদাহাস্যজ্বল ও সাদা মনের এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে সকলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। অনেকের কাছে তিনি প্রিয় ব্যক্তি। এর আগে তিনি সাঘাটা উপজেলায় ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে টানা ১৪ বছর দায়িত্ব পালন করছেন। সে সময় তিনি চেয়ারম্যান হিসাবে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। সুনামও কুড়িয়েছেন পুরো জেলা জুড়েই। ছাত্র জীবনে পল্লীবন্ধু হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের আদর্শে অনুপ্রোণিত হয়ে জাতীয় ছাত্র সমাজের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করেন। এরপর জাতীয় পার্টি সাঘাটা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক হিসাবেও দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বরত আছেন। ২০১৬ সালে তিনি গাইবান্ধা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ভোট করে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। গাইবান্ধা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি এই অবহেলিত জেলাকে এগিয়ে নিতে নানান পরিকল্পনা গ্রহন করেন। এরপর আসে নানা বাঁধা বিপত্তি। সকল বাধাকে উপেক্ষা করে তিনি গাইবান্ধা জেলাবাসীর কল্যাণে কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। উদ্ধার করেছেন জেলা পরিষদের দখলকৃত জমি। গাইবান্ধা জেলায় ইপিজেড স্থাপনের জন্য প্রথম দাবী তুলেছেন তিনি। সর্বস্তরের জনসাধারণকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন এই সৃজনশীল মানুষটি যা বর্তমানে বাস্তবায়নের পথে। জেলা পরিষদের জায়গা উদ্ধারে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গাইবান্ধা জেলা পরিষদের সামনে নর্দমাটি ভরাট করে মার্কেট তৈরি করার পদক্ষেপ নিয়েছেন যা প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে মনে করেন সচেতন মহল। তবে একটি কুচক্রী মহল এসব উন্নয়ন ম্লান করতে বিভিন্ন সময় বাধা সৃষ্টি করেছে। ১০০০ সিট বিশিষ্ট্য অডিটরিয়াম বাস্তবায়ন করতে অনেক পরিশ্রম করছেন তিনি। যা গাইবান্ধার সম্পদ হয়ে থাকবে। করোনা কালিন সময়ে সাধারণ মানুষের জন্য গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন থানায় ও ইউনিয়নে মাস্ক, সাবান,হ্যান্ডস্যানিটাইজার, খাদ্য দ্রব্য ও কৃষকদের মাঝে স্প্রে মেশিন বিতরণ করেছেন এই ব্যক্তিটি। এছাড়া কোন গরীব অসহায় মানুষ কোন চিকিৎসা সেবার জন্য সহযোগিতা চাইলে, তাদের সকলকে যতটুকু পারেন অর্থনৈতিক সহযোগিতা করেছেন। মেধাবী ছাত্র ছাএীর জন্য উপবৃত্তি দিয়েছেন। আরো সহযোগিতা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গুলোকে। এদিকে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার জনগন তাকে আগামী দিনে গাইবান্ধা ৫ আসনের সংসদ সদস্য হিসাবে দেখতে চায়। মেধা, মনন, কর্ম, প্রয়াস, শ্রম ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতার মধ্যদিয়ে তিনি গাইবান্ধাজেলাবাসীর কাছে হয়েছেন একজন কাছের মানুষ। মোঃ আতাউর রহমান সরকার আতা বলেন, আমি গাইবান্ধাবাসীর কল্যাণে আজীবন কাজ করতে চাই। এই লোকগুলোর ভালবাসায় আমি বেচেঁ থাকতে চাই। আমি জনগনের খেদমত করলে তৃপ্তি পাই। তাই যতদিন বেঁেচ গাইবান্ধা জেলাবাসীর কল্যাণে কাজ করে যাবো।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com