কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে চলমান সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি সমাবেশ মঙ্গলবার উপজেলা প্রেসক্লাব চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি সদস্য গৌতম রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. রফিকুল ইসলাম পিটু, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক বি এম শহিদুজ্জামান শহিদ ও উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী আজাহারুল ইসলাম মানিক। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তপন কুমার ঘোষ মন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাগরদাঁড়ী ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত, সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ মাষ্টার, পাঁজিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল, ত্রিমোহিনী ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আনিসুর রহমান আনিস, সাতবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন দফাদার, গৌরীঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান হাবিব, পৌর আওয়ামী লীগনেতা কার্ত্তিক চন্দ্র সাহা, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগনেতা আব্দুল কাদের বিশ^াস, মজিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগনেতা মাওঃ আব্দুল হালিম, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগনেতা আবু বক্কর সিদ্দিক, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান, বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক বি এম ইব্রাহীম হোসেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু সাঈদ লাভলু, বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান খান মুকুল প্রমুখ। কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মন্দির ও মন্ডপে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং ভক্ত-দর্শনার্থী হত্যার ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা-বিদ্বেষ প্রচার করে যারা জনজীবন ও রাষ্ট্রের মূল কাঠামো বিপর্যস্ত ও ধ্বংস করতে চাইছে, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী এ ধরনের উদ্যোগ প্রতিহত করার জন্য সরকারের পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, উগ্রবাদী-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বিগত সপ্তাহজুড়ে কুমিল্লা, নোয়াখালি আসকন মন্দির, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, রংপুরের পীরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার মন্দির, দুর্গাপূজা মন্ডপ ও বিগ্রহ ভাঙচুরের পাশাপাশি সনাতন ধর্মবিশ^াসীদের ঘরবাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করছে। তাদের হামলায় ইসকনের ভক্তসহ ছয়জন নিহত হয়। এসব সহিংস ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।