জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানায় আটক ১৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করেছে পুলিশ। ২১ অক্টোবর দুপুরে বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ আটক ব্যাক্তিদের গ্রেফতার দেখিয়ে জামালপুরের আদালতে সোপর্দ করেছে। আটক ব্যাক্তিদের মধ্যে জামালপুর জেলা আমীর এডভোকেট নাজমুল হক সাইদী ও বকশীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর আদেল ইবনে আওয়ালও রয়েছেন।জানা যায়, জামায়াতের জামালপুর জেলা আমীর এডভোকেট নাজমুল হক সাইদী ও বকশীগঞ্জ উপজেলা আমীর আদেল ইবনে আওয়ালের নেতৃত্বে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বেশ কিছু জামায়াতের নেতা কর্মী ২০ অক্টোবর বকশীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বৈঠক করে। বৈঠকে সরকার বিরোধী ও নানা পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা হয়। পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় জামায়াতের জামালপুর জেলা আমীর এডভোকেট নাজমুল হক সাইদী ও বকশীগঞ্জ উপজেলা আমীর আদেল ইবনে আওয়ালসহ ১৪জনকে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের চরকাউরিয়া সীমারপাড় জহুরুল হক মেম্বার বাড়ী জামে মসজিদ থেকে আটক করে। পরে ২০ অক্টোবর দিবাগত রাতে জামায়াতের আটক ১৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা হয়।যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন- বকশীগঞ্জ উপজেলার নীলাক্ষিয়া গ্রামের জামায়াতের জেলা আমীর এডভোকেট নাজমুল হক সাইদী(৬০), মাদরাসা শিক্ষক বকশীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর বাট্টাজোড় গ্রামের আদেল ইবনে আওয়াল(৫০), আইরমারী গ্রামের মাহাবুব জামি(৪৮), বকশীগঞ্জ পৌর শহরের টিএন্ডটি রোডের আব্দুল আজিজ (৫১), সীমারপাড় গ্রামের মোহাম্মদ আলী(৬০),নয়াপাড়া গ্রামের সুলতান (৪৮),উজান কলকীহারা গ্রামের আব্দুলমালেক(৪৭),মালিরচর মৌলভীপাড়া গ্রামের বিসমিল্লাহ হোটেলের মালিক রাসেল মাহমুদ(৪৫), জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের জুলফিকার আলী(৪৫), ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার কায়রাহাটিগ্রামেরখালেকুজ্জামান(২১), ছোট দাসপাড়া গ্রামের নিয়ামত উল্লাহ(৩৪), কয়রাহাটি গ্রামের আনিসুজ্জামান (২২), পাগলা থানার দক্ষিন হারিনা গ্রামের ইসমাইল হোসেন(৪২) ও নান্দাইল উপজেলার কাকচর গ্রামের আশরাফুল আলম(৩৫)।এ ব্যাপারে ২০ অক্টোবর বুধবার রাতে বকশীগঞ্জ থানায় সংবাদ সম্মেলন করেন জামালপুরের পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, আটক সবাই জামায়াতের নেতাকর্মী। তারা নাশকতার পরিকল্পনামূলক কাজে জড়িত ছিলেন। সময় মত তাদের গ্রেফতার বা আটক করা না হলে জামালপুর জেলা তথা বকশীগঞ্জ উপজেলাবাসী বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির সন্মুখীন হতেন।এব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম স¤্রাট জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ২১ অক্টোবর দুপুরে তাদের জামালপুরের বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।