সুপার টুয়েলভে আফগানিস্তানকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এতে সেমিফাইনালে খেলা পাকিস্তানের জন্য অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে। শুক্রবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানের টার্গেট দেয় আফগানিস্তান। এর জবাবে পাকিস্তান ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১ ওভার হাতে থাকতেই পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। ফলে ৫ উইকেটে আফগানদের বিপক্ষে জয় পায় পাকিস্তান।
শেষ দিকে ৭ বলে ৪টি চারে ২৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সপ্তম আসরে সুপার টুয়েলভে পাকিস্তানকে হ্যাটট্রিক জয়ের স্বাদ পাইয়ে দিলেন আসিফ আলি। শুক্রবার গ্রুপ-২-এর ম্যাচে নিজেদের টানা তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তান ৫ উইকেটে আফগানিস্তানকে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে। অন্য দিকে ২ খেলায় ১ জয়-হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে আফগানরা।
দুবাইয়ে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে আফগানিস্তান। শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। পাকিস্তান বোলারদের তোপে ৭৬ রানে ৬ উইকেট হারায় আফগানরা। পাঁচ বোলার মিলে ছয় উইকেট ভাগাভাগি করেন। আফগানিস্তানের হজরতুল্লাহ জাজাই ০, মোহাম্মদ শাহজাদ ৮, রহমানউল্লাহ গুরবাজ ১০, আসগর আফগান ১০, করিম জানাত ১৫ ও নাজিবুল্লাহ জাদরান ২২ রান করে আউট হন।
১৩তম ওভারে ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি ও গুলবাদিন নাইব। উইকেটে সেট হয়ে শেষদিকে দ্রুত রান তুলেন তারা। নবি ও নাইবের ৪৫ বলে ৭১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে লড়াকু পুঁজি পায় আফগানিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৭ রান করে আফগানরা। নবি ৫টি চারে ৩২ বলে অপরাজিত ৩৫ এবং নাইব ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৫ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করেন।
পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন। আর অন্য চার বোলার ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
জয়ের জন্য ১৪৮ রানের টার্গেটের জবাব দিতে নেমে তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। ৮ রান করে ফিরেন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর ৬৩ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে লড়াইয়ে রাখেন আরেক ওপেনার ও অধিনায়ক বাবর আজম ও ফখর জামান। ২৫ বলে ৩০ রান করা জামানকে শিকার করে আফগানিস্তানকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন অধিনায়ক নবি।
চার নম্বরে নামা মোহাম্মদ হাফিজ ১০ রান করে রশিদ খানের শিকার হন। আর ১৭তম ওভারে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ২২তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে আউট হন বাবর। ১৮তম ওভারে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ১৯ রান করা শোয়েব মালিকও। এমন অবস্থায় ম্যাচ জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে ২৪ রানের প্রয়োজন পড়ে পাকিস্তানের।
আফগানিস্তানের মিডিয়াম পেসার করিম জানাতের করা ১৯তম ওভারের প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম ও শেষ বলে ছক্কা মেরে পাকিস্তানকে আবারো জয়ের বন্দরে নিয়ে যান ডানহাতি আসিফ আলি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত ম্যাচেও শেষদিকে ১২ বলে ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেছিলেন আসিফ। শুক্রবার তিনি ৭ বলে ৪টি ছক্কায় অপরাজিত ২৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন ম্যাচসেরা নির্বাচিত হওয়া আসিফ। তার ঝড়ো ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৮ রান করে টানা তৃতীয় ম্যাচ জিতে পাকিস্তান।
২ নভেম্বর গ্রুপ পর্বে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে নামিবিয়ার মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। আর ৩১ অক্টোবর নামিবিয়ার বিপক্ষে এবারের আসরে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তান।