বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে আবারও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে গুলশানের বাসা থেকে বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে, বলে দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে। মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। চিকিৎসকেরা বলতে পারবেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা ইসলাম কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার তথ্য জানিয়ে এরই মধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে। চিঠিতে বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার উল্লেখ করেছেন, মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে বেলা ৩টায় এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে। হাসপাতালে আসা-যাওয়ার পথে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান সাত্তার।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আবারও বেশ কদিনের জন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে খালেদা জিয়াকে। শারীরিক প্যারামিটারগুলো ‘অস্বাভাবিক’ আসায় তাকে নিবিড় চিকিৎসাধীন থাকতে হবে। কিছুটা সুস্থবোধ করায় ৭ নভেম্বর বাসায় ফিরলেও হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়টি চিকিৎসকদের পরিকল্পনাতেই ছিলো বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
সূত্রের ভাষ্য, বেগম জিয়া হাসপাতালে অবস্থান করতে অপারগ হওয়ায় তাকে বাসায় নেওয়া হয়েছিল। ওই সময় কিছুটা সুস্থবোধ করায় চিকিৎসকেরা বাসায় নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। তবে, এবারও বিগত সময়ের মতো বেশ কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকতে হবে হাসপাতালে, এমন তথ্য জানায় সূত্র।
এদিকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা দিতে দলীয় বা পারিবারিকভাবে কোনও চেষ্টা-তদবির চলছে কিনা এমন প্রশ্নে সূত্রের ভাষ্য, ‘কে চেষ্টা করবে, এমন কোনও তৎপরতা নেই।’ শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ব্রিফ করা হতে পারে বলে জানায় দলীয় একটি সূত্র।
প্রসঙ্গত, এর আগে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ২৭ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।