সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে অটোরিকশার নিয়ন্ত্রণহীন চলাচলে জানজট এখন চৌহালীর নিত্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সিরাজগঞ্জের চৌহালীর রাস্তাগুলো এখন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও চার্জার রিকশার দখলে। অটোরিকশা চলাচলে নিয়ন্ত্রণ না থাকা ও অতিরিক্ত অটোরিকশা চলাচল করায় প্রতিদিন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে আর এ যানজটের কবলে পড়ে সিরাজগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। চৌহালী উপজেলার বেবিষ্ঠান , আলিয়া মাদ্রাসা ও মেডিক্যাল মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের আশপাশে বিপণিবিতান, বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গা । অটোরিকশার কারণে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে প্রতিদিন যানজটের কবলে পড়তে হয় স্থানীয়দের। উপজেলা শ্রমিক অফিসের ভাষ্য অনুযায়ী, চৌহালীতে বর্তমানে ৫শতর বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ১ থেকে ২ হাজার চার্জার রিকশা চলাচল করছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো সড়ক রিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ঠাসা। থেমে থেমে অটোরিকশার জটলা তৈরি হচ্ছে। যাত্রী দেখলেই চার্জার রিকশাগুলো যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ছে। আবার সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রীর আশায় অটোরিকশাগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এতে মুহূর্তেই অটো ও চার্জার রিকশার দীর্ঘ সারি হয়ে যায়। এই দীর্ঘ সারির কারণে ম্যাজিস্ট্রেট, চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থী ও পথচারীদের সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশে যাওয়াও বেশ কষ্টকর। এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাপ্তাহিক দোকানপাট বন্ধ থাকবে বলে আজ সকাল থেকেই রাস্তায় মানুষের যাতায়াত বেশি দেখা গেছে। বাজার শেষ করে রাস্তার উল্টো দিকে যাওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন স্কুলের ডিউটিরত শিক্ষকরা। শিক্ষক ঠান্ডু মাষ্টার বলেন, বাজার করতে যত সময় লাগে, তার থেকে বেশি সময় রাস্তায় চলে যায়। রাস্তা পার হতেও অনেক সময় লাগে। অটোরিকশার দীর্ঘ সারির কারণে পথচারীদের সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশে যাওয়াও বেশ কষ্টকর এদিকে কে আর পাইলট মোড় চত্বরের পাশে সড়কের মধ্যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ¯ট্যান্ড। এতে রাস্তা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। জোতপাড়া বাজার থেকে আলিয়া মাদ্রাসা মোড় পর্যন্ত পাঁচ মিনিটের হাঁটাপথ, অটোরিকশায় গেলে সময় লাগে আধঘণ্টা। অটোরিকশাচালক রুবেল বলেন, ‘এত দিন বিধিনিষেধ গেল। এখন আবার রাস্তায় জ্যামে (যানজট) আটকে থাকতে হয়। এ জ্যামের (যানজট) কারণে আয়রোজগারও কমে গেছে। রাস্তায় ভোগান্তির সময় সঙ্গে ছিলেন চৌহালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা( পিআইও) মজনু মিয়া ? এ সময় এক পথচারী নারী ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘বছরের পর বছর এ অবস্থা দেখে আসছি। এ বিষয়ের কি কোনো সমাধান নেই?