হাই কোর্ট থেকে প্রার্থীতার বৈধতা ফিরে পেয়ে পেকুয়ায় ফিরে আসার পথে চকরিয়ায়ই ভক্ত-সমর্থকদের ভালবাসা ও ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন মগনামা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুচ চৌধুরী। আজ বুধবার ১৭ নভেম্বর তাঁকে সম্বর্ধিত করেন মগনামাবাসী। এ সময় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক এ চেয়ারম্যান ইউনুচ চৌধুরী জানান, বিএনপি’র সাবেক নেতা নব্য হাইব্রীড় আওয়ামীলীগ নেতা ওয়াসিম মগনামার চেয়ারম্যান হবার পর থেকে মামলা-হামলা ও জমি হারিয়ে মগনামাবাসী কঠিন সময় পার করেছেন। তাই তারা তাদের দুঃখ দুর্দশা লাগবে আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে চান। আমার জনপ্রিয়তায় ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্র করে আমার প্রার্থিতা বাতিল করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জনগনের দোয়ায় আমি আবারো হাইকোর্টের রায়ে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছি। এ সময় তিনি ভক্ত-সমর্থকদের ভালবাসা ও দোয়া কামনা করেন। আসন্ন ২৮ নভেম্বর পেকুয়া উপজেলার ৬ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচনে মগনামা ইউনিয়ন থেকে ১৩জন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করার পর গত ৪ নভেম্বর যাচাই বাচাইয়ের দিন মগনামার দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছ চৌধুরীর ব্যাংক একাউন্ট না থাকায় সাময়িকের জন্য অবৈধ ঘোষণা করলেও পরে সব প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছ চৌধুরীর মনোনয়ন ফরম পেকুয়া নির্বাচন কর্মকর্তা (মগনামার রিটার্নিং কর্মকর্তা) বৈধ ঘোষণা করায় তা চ্যালেঞ্চ করেন অপর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন। মঙ্গলবার (৯নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও আপিল কর্তৃপক্ষ এস.এম শাহাদাত হোসেন দীর্ঘ শুনানী শেষে ইউনুছ চৌধুরীর দাখিলকৃত মনোনয়ন ফরম বাতিল ঘোষণা করে। কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সকল চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জন্য নতুন হিসাবপত্র (একাউন্ট)খুলতে হয়। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জারীকৃত পরিপত্র-৩ ক্রমিক- ১২ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার নির্বাচন (ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন) বিধিমালা ২০১০ এর বিধি অনুসারে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিলের পূর্বে নির্বাচনী ব্যয় পরিচালনা করার জন্য যেকোন তফশীল ব্যাংকে একটি নতুন একাউন্ট খুলতে হয়। চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছ চৌধুরী নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী যথাসময়ে হিসাব না খুলায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন (ইউনিয়ন পরিষদ) বিধিমালা ২০১০ এর বিধি ১২ এর উপ বিধি ৩ (ক) যথাযথভাবে প্রতিপালিত হয়নি। তাই আপিলকারীর আপিল গ্রহণ করে ইউনুছ চৌধুরীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়। পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (মগনামার রিটার্নিং কর্মকর্তা) মোঃ রেজাউল করিম বলেন, ইউনুছ চৌধুরীর মনোনয়ন ফরম চ্যালেঞ্চ করে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর আপিল করেন। সেখানে শুনানী শেষে আপিলকারীর আপিল গ্রহণ করে ইউনুছ চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করেন। উল্লেখ্য প্রতীক বরাদ্ধের সময় ইউনুচ চৌধুরী ঢোল মার্কা প্রতীক পান।