আমরা আওয়ামীলীগ বা নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে না। আমরা ব্যাক্তির বিপক্ষে এবার এক হয়েছে। বুধবার ২৪ নভেম্বর বিকেলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলছিলেন নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুখলেছুর রহমান মুখলেছ। এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, চন্দ্রকোনা ইউনিয়নে এখন হাইব্রীড আওয়ামীলীগে ভরপুর। আমরা পঁচাত্তর পরবর্তী থেকে শেখ মুজিবরের আদর্শ বুকে ধারন করি রাজনীতি করি। অপরদিকে এই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাজু সাইদ ছিদ্দিকী টাকার বিনিময়ে দলের পদ বাগিয়ে নেন। এছাড়াও তিনি ২০০৬ সালে আওয়ামীলীগে আসার আগে অন্য দলের সমর্থক ছিল। আমরা এই ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছি। কিন্তু নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাজু সাইদ ছিদ্দিকী আমাদের কোন মূল্যায়ন করে না। সে টাকার বিনিময়ে গুন্ডা সন্ত্রাসী পালন করে। গত ইউপি নির্বাচনে সাজু টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন কিনেছিল। এবারও সেই কাজই করেছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রায় ৩০/৩৫ জন নেতা কর্মী দলের আরেক সদস্য আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কামারুজ্জামান গেন্দুর নির্বাচন করছি। এবিষয়ে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কামারুজ্জামান গেন্দু বলেন, গতকাল ২৩ নভেম্বর সন্ধায় সাজুর কর্মী সমর্থকেরা আমার লোকজনের উপর হামলা চালায়। সঠিক সময়ে পুলিশ এসে ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেসময় পুলিশ চন্দ্রকোনা বাজারে না আসলে পরিস্থিতি খারাপ হতো। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাজু সাইদ ছিদ্দিকীর লোকজনের ছোড়া ইট পাটকেলে আমার বড় ভাই চন্দ্রকোনা কলেজের অধ্যক্ষ ডা.মোঃ রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে সাকিরুল ইসলাম উল্লাস মারান্তক আহত হয়। ইতিমধ্যে আমার ভাতিজা উল্লাসের নাকের হাড় ভেঙ্গে গেছে। তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হচ্ছে। শুধু তাই নয় আজ বুধবার সকাল থেকে সাজুর লোকজন বলাবলি করছে যে চন্দ্রকোনা বাজারে আনারসের কোন কর্মী ও সমর্থক থাকতে পারবে না। গতবার সাজু আমার এজেন্টদের বের করে সিল মেরে পাশ করেছে। এবারও সাজু তাই করবে। তাই আমি দলীয় নেতা কর্মী ও প্রশাসনকে অনুরোধ করবো তারা যেন একটি সুষ্ট ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চন্দ্রকোনাবাসীকে উপহার দেয়। নিজের প্রতি আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাজু সাইদ ছিদ্দিকী বলেন, আমরা জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আমরা প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছি। আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কামারুজ্জামান গেন্দু ও তার কর্মীরা গতকাল আমার পোস্টার ছিড়েছে। সেটি বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয় এবং হামলা করে। ইতিমধ্যে আমাদের ৭ জন কর্মী নকলা উপজেলা হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেলে ভর্তি। কামারুজ্জামান গেন্দুর দুই ভাই সরকারের উচ্চপদস্থ পর্যায়ে চাকুরী করে। তাই তারা সেটির অপব্যবহার করে প্রভাব খাঁটায়। এ ব্যাপারে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত র?য়ে?ছে। ওই এলাকায় পু?লিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।