বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
তীব্র গরমে কালীগঞ্জে বেঁকে গেছে রেললাইন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী দিদার পাশা জনপ্রিয়তায় এগিয়ে শ্রীপুর পৌরসভার উদ্যোগে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে কর্মশালা রায়পুরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা আলী আহমেদের কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা অব্যাহত পলাশবাড়ীতে প্রচন্ড গরমে ঢোল ভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে তরমুজ বিতরণ জুড়ীতে টিলাবাড়ি ক্রয় করে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ আনারসের পাতার আঁশ থেকে সিল্ক কাপড় তৈরির শিল্পকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে-সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাউজানে পথচারীদের মাঝে যুবলীগের ফলমূল ও ছাতা বিতরণ

আম্ফানের প্রথম আঘাত উড়িষ্যায়

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২০ মে, ২০২০
ছবি: দ্য হিন্দু

ভারতের উড়িষ্যায় উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। সেখানে প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাস বইছে এবং ভারি বর্ষণ হচ্ছে।ঝড়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র, স্থাপনা ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

দেশটির জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সকাল থেকেই উড়িষ্যার পারাদ্বীপে সর্বোচ্চ ১০৬ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। চান্দবালিতে ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায়।বেলাশোরে ৫৭ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে।আর ভুবনেশ্বরে ৫৬ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে।মুষলধারে বৃষ্টিপাতও হচ্ছে।দুপুর ও বিকালের দিকে এই ঝড় আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রচণ্ড ঝড়ে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। কিছু কিছু জায়গায় গাছ পড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহের অবকাঠামো।

এদিকে ভারতের আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম এই সময় জানায়, সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঝোড়ো বাতাস বইতে শুরু করেছে। বেলা বাড়লেই শুরু হবে তাণ্ডব। ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানতে পারে বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সুন্দরবনের কাছ দিয়ে উপকূলে উঠে আসার সময় আম্পান ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার হতে পারে।

পথে কিছুটা দেরি হলেই ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়ে যেতে পারে উপকূলীয় এলাকা। বড়সড় পরীক্ষার সামনে পড়বে সুন্দরবনের বাঁধ। কারণ, রাত পৌনে ৯টার সময় সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছবে জোয়ার।

এদিকে আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় আঘাত হানতে পারে প্রলয়ংকারী এই ঘূর্ণিঝড়। উপকূলবর্তী এলাকায় ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হচ্ছে। ১৫ মিটার উচ্চ জলোচ্ছাস বয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

১০ নম্বর সংকেত থাকবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে। এছাড়া সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর এবং চাঁদপুর জেলাতেও দেখানো হচ্ছে দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত।

বুধবার ভোর ৬টার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদফতর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড় এবং দ্বিতীয় পক্ষের চাঁদের সময়ের শেষ দিনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এমআর/প্রিন্স




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com