জেলার সদর উপজেলার মনাগ্রামের কৃষক মনজুর হোসেন ৩০ একর জমিতে ২১ জাতের সবুজ আর বেগুনী পাতার কালো চাল ও লাল চালের (ব্ল্যাক অ্যান্ড রেড রাইস) ধানের আবাদ করে সাড়া ফেলেছেন। জেলার কৃষি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে জমির ধান কাটা শুরু হয়। ফলন ভালো হওয়ায় বেশ খুশি কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারাও।
সরেজমিনে জানা যায়, কৃষক মনজুর এবার ৩০ একর (১২ দশমিক ১৪ হেক্টর) জমিতে ব্লক পদ্ধতিতে জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ভারত, কম্বোডিয়া, নেপাল, ক্যানডিয়ানসহ নানা দেশের মোট ২১ জাতের ধানের চাষ করেছেন। ২০ একর কালো চালের ও ১০ একর লাল চালের ধানের চাষ করেন তিনি। এসবের মধ্যে কোনো জাতের চাল অনেক বেশি কালো, কোনোটি লাল, আবার কোনটি লালচে লাল রঙের। রয়েছে সুগন্ধিযুক্ত ব্ল্যাক রাইসও।
স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ছালেকুর রহমান জানান, মনজুর হোসেন একজন উদ্ভাবনী কৃষক। তিনি ২০১৮ সালে মাত্র ২৭ টি বীজ দিয়ে ব্ল্যাক রাইস উৎপাদনের যাত্রা শুরু করেন। পরে বিভিন্ন দেশের বীজ সংগ্রহ করেন। বর্তমানে কালো চাল (ব্ল্যাক রাইস) থেকে ধানের চারা উৎপাদন করে জমিতে চাষ করছেন তিনি। কৃষি গবেষক ও কর্মকর্তারা চাষাবাদের তদারকি করেছেন। এবার ফলন অনেক ভালো হয়েছে।
কৃষি উন্নয়নের অবদান রাখায় একাধিক বার রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক মনজুর হোসেন বাসসকে বলেন, এ মৌসুমে মোট ৩০ একর জমিতে ব্ল্যাক-রেড রাইসের চাষ করেছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, আমরা ব্ল্যাক ও রেড রাইসের বীজ দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে চাই। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিডিউট ও কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর একই সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।