দেশের বর্তমান অবস্থায় বাংলাদেশের ছাত্র ও যুবসমাজ নিশ্চুপ হয়ে আছে তা আশ্চর্যের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আজকের দেশের যে অবস্থা সেই অবস্থায় সবচেয়ে সোচ্চার থাকার কথা ছিল ছাত্র-যুবকদের। সকল অন্যায়-অসত্যের বিরুদ্ধে যারা প্রথম সামনে আসে তারা হলো ছাত্র ও যুবক সমাজ। এটা সারা বিশ্বসহ আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাস। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে আজকে যা ঘটছে তারপরও বাংলাদেশের ছাত্র ও যুবসমাজ নিশ্চুপ হয়ে আছে তা আশ্চর্যের বিষয়।’ গতকাল সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মানবাধিকার ইস্যু এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ সেন্টার এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।
বর্তমানে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে নষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভাবমূর্তি বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত সম্মানের, উচ্চমানের। কিন্তু আজকে তারা বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও ঘৃণার পাত্র এবং একটি স্বৈরাশাসকদের দেশ হিসেবে চিহ্নিত করছে। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্য এবং দুঃখজনক।’ আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণ বিরক্ত দাবি করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, বর্তমানে ইউনিয়ন কাউন্সিল নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি কিন্তু তারপরও সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-আওয়ামী লীগের মধ্যে কি পরিমাণ সন্ত্রাস হয়েছে, কি পরিমাণ মৃত্যু হয়েছে। আওয়ামী লীগের নৌকার প্রতি মানুষের এত বিতৃষ্ণা যে স্থানীয় নির্বাচনে অধিক পরিমাণ স্বতন্ত্র প্রার্থী পাস করেছে। বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ছিল এই বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হবে। অর্থনীতি, সামাজিক সব কিছুতে সাম্য প্রতিষ্ঠা থাকবে। স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার থাকবে। কিন্তু আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এই আকাঙ্ক্ষাগুলো পূরণ করেছি বলে জোর গলায় দাবি করতে পারছি না। গণতন্ত্র মুক্তিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সরকারের অধীনে গণতন্ত্র আসবে না, নির্বাচনী ব্যবস্থা আসবে না। অতএব একটাই আমাদের সামনে টার্গেট সেটা হচ্ছে। যে যেখানে আমরা থাকি না কেন বিশেষ করে ছাত্র ও যুবক সমাজকে আজকের এই বিষয়টা বুঝে এগিয়ে আসতে হবে। এই সরকারের কাছ থেকে দেশকে মুক্তি করতে না পারলে জনগণের মুক্তি হবে না। এম সরোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান রিপনসহ সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ সেন্টারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।