যাদের গাফিলতির কারণে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তাদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। তিনি বলেছেন, যাদের গাফিলতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটলো, যারা অবহেলা করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে বেশ কয়েকজন রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গতকাল সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) তাদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। দগ্ধদের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা কেন ছিল না, কেন সেটা করতে পারলো না তা তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে বলে আমরা মনে করি। যাদের গাফিলতির কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক। এটাই কমিশন থেকে আমরা প্রত্যাশা করি।
তিনি বলেন, কমিশন আরও মনে করে যেখানে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য জনগণ চলাচল করে সে ধরনের গণপরিবহনে যাতে অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে এবং প্রশিক্ষিত জনবল থাকে। শুধু নির্বাপণের ব্যবস্থা থাকলেই হবে না। কীভাবে নির্বাপণ করতে হয় সেটা জানতে হবে।
নাছিমা বেগম বলেন, যারা ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়, কিসের ওপর ভিত্তি করে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়? বছরের পর বছর শুধু দিয়ে গেলেই হবে না, সেই যানবাহন চলার উপযোগী কিনা, ইঞ্জিনগুলো সচল আছে কিনা ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা তা দেখতে হবে। অগ্নিনির্বাপণের যে যন্ত্রপাতি আছে সেগুলো সঠিক সময়ে পরিবর্তন করা হচ্ছে কিনা, মেয়াদ ঠিক আছে কিনা সেগুলো দেখার জন্য প্রত্যেকটা যায়গায় কর্তৃপক্ষ আছে। তাদের ঠিকঠাক কাজ করতে হবে। আর যেন আমাদের জনজীবনে এধরনের দুর্ভোগ নেমে না আসে।
মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান আরও বলেন, ভালো লাগলো যে, এতকিছুর মধ্যেও মানুষের মুখে হাসি আছে। এটাতে বোঝা যায় এখানকার ডাক্তার-নার্সরা যথাযথ চিকিৎসা দিচ্ছেন। রোগী এবং রোগীর স্বজনরা সবাই সন্তুষ্ট। এটার জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি সরকারের দিক থেকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার যে উদ্যোগ, যেভাবে তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে সেটি সন্তোষজনক।