চলতি বছরেই পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী টানেল জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এর ফলে প্রবৃদ্ধি প্রায় আড়াই শতাংশ বাড়বে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। গতকাল মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ১১ হাজার ২১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী টানেল চলতি বছর খুলে দেওয়ার বিষয়ে আজকের একনেক সভায় আলোচনা করা হয়। সভায় জানানো হয়, পদ্মা সেতু প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুনে খুলে দেওয়া হবে। কর্ণফুলী টানেল চলতি বছরের অক্টোবরে খুলে দেওয়া হবে। এছাড়া মেট্রোরেল খুলে দেওয়া হবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে জুনে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে। চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু টানেল ২০২২ সালের অক্টোবরে চালু হবে। অন্যদিকে চলতি বছরের ডিসেম্বরে চালু হবে মেট্রোরেল প্রকল্প। শুধু পদ্মা সেতু চালু হলে ১ দশমিক ২ শতাংশ অতিরিক্ত প্রবৃদ্ধি বাড়বে। মেট্রোরেল নিয়ে এখনো প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ করা হয়নি। সব মিলিয়ে প্রবৃদ্ধিও বাড়বে। জনশুমারি পিছিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, কোভিডের কারণে সব কিছু পরিবর্তন হয়েছে। অনেকগুলো শক্তি কাজ করেছে। সরকারের পারচেজ কমিটি আমারও ওপরে। পারচেজের ব্যাপারে আমি কিছু বলবো না। পারচেজ কমিটি ট্যাব কেনা নিয়ে নানা ত্রুটি পেয়েছেন। জনশুমারি সঠিক সময়ে করতে পারলাম না আমিও খুশি নয়।