পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের নিস্কৃয় ভূমিকার কারণেই সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নে একের পর এক নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেছে যুবলীগের নেতারা। সর্বশেষ যুবলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্নের ঘটনায় আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার দুপুরে পিরোজপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগের নেতারা এ অভিযোগ করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে কদমতলা ইউনিয়নে যুবলীগ কর্মী নাদিমের ডান হাত কেটে বিচ্ছিন্নের পরও পুলিশ উল্লেখযোগ্য কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এছাড়া গত বছরের ৮ ডিসেম্বর পার্শবর্তী সিকদার মল্লিক ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রুহুল আমীনের ২ পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় থানা মামলা গ্রহন করেনি। এমনকি আদালতের নির্দেশে মামলা নিলেও কোন আসামীকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। কোন অজ্ঞাত কারণে পুলিশ কদমতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ শিহাব হোসেন এর প্রতি একপেশে ভূমিকা পালন করছে। এতে করে ওই ইউনিয়নে সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে বলে দাবি তার। সংবাদ সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা যুবলীগের নেতারা ছাড়াও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। তবে নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর মোঃ মাসুদুজ্জামান। তিনি বলেন ,সদও থানায় তিনি যোগ দেওয়ার পওে অনেক ঘটনা ঘটেনি। এক ইউপি সদস্যের দুই পা ভাঙ্গা এবং একজনের কব্জি কাটার ঘটনা ঘটেছে।