পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নে এক যুবকের হাত কর্তনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত কদমতলা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান এবং ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মিজানুর রহমানের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। রোববার দুপুরে সদর উপজেলার পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কের পাশে জুজখোলায় স্থানীয়দের উদ্যোগে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন শিকদার মল্লিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ছরোয়ার হোসনে হাওলাদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী পিন্টু, মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং মোঃ আলতাফ হোসেন হাওলাদার প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন গ্রেফতারকৃত মিজানকে নাদিমের হাত কাটা মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জাড়ানো হয়েছে। এ ঘটনার সাথে কোনভাবেই মিজান জড়িত নয়। তাই তারা অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত মিজানের মুক্তি দাবি জানান। উল্লেখ্য পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ১৩ জানুয়ারি সদর উপজেলার উত্তর কদমতলা গ্রামে নাদিমের ডান হাত কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করে দেয় প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় পিরোজপুর সদর থানায় শুক্রবার রাতে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় মিজানকে ৬নং আসামী করা হয়েছে। মিজান কদমতলা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ শিহাব হোসেন সমর্থিত। অন্যদিকে হাত বিচ্ছিন্ন হওয়া নাদিম কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ খান এর সমর্থক। নাদিমের হাত কেটে বিচ্ছিন্নের মামলায় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শিহাবও আসামী। কদমতলা ইউনিয়নে গত বছরের ২১ জুন প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হওয়া ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিহাব ও হানিফের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব রয়েছে। এরই জেরে নির্বাচনের আগে এবং পরে তাদের দুইজনের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি ও পাল্টা-পাল্টি মামলার ঘটনা ঘটছে।