স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তীতে শেরপুরে রেল লাইন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবীতে মোটর শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারী) সকাল ১১ টা বের হয়ে সন্ধা ৬ টায় জেলা শহরের এসে শেষ হয়। ওইসময় প্রায় ১০০ মোটর বাইক শেরপুরের ৫টি উপজেলা সদর, শ্রীবরদি, ঝিনাইগাতি, নকলা, নালিতাবাড়ী প্রদক্ষিণ করে। মোটর শোভাযাত্রার শুরুতে জেলা শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়াম চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মোটর শোভাযাত্রা কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল খান সৌরভ। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফায়েল আহমেদ। এসময় তিনি বলেন, তরুনরা আমাদের সম্পদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুনদের জন্য বিশেষ বাজেটের ব্যবস্থা রাখেন। যেন তরুনরা উ˜েদ্যক্তা হয়ে নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারে। শেরপুরের সকল স্বেচ্ছাসেবীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আজ মোটর শোভাযাত্রা হচ্ছে। সকলের গায়ে লাল সবুজ টি শার্ট। গাড়ীতে জাতীয় পতাকা। প্রতিটি মোটর বাইককে দেখতে চমৎকার দেখাচ্ছে। হয়তো স্বাধীনতার শত বছর পূর্তিতে আরো চমকপ্রদ কিছুর আয়োজন করবে আমাদের তরুনরা। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা বলেন, শেরপুর জেলা সবসসময় অবহেলিত। স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তীতে আমরা জেলাবাসীর প্রাণের দাবি শেরপুরে আমাদের রেল লাইন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রয়োজন। ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলাতে রেল লাইন থাকলেও শুধুমাত্র শেরপুরে নেই। একটি মেডিকেল হওয়ার কথা থাকলেও সেটিও হবে হবে বলে আর হলো না। প্রিয় অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তন কমান্ড শেরপুর জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক ও হুইপ কন্যা ডা. শারমিন রহমান অমি বলেন, আমি গর্ববোধ করি আমি শেরপুরের সন্তান। স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তীতে জেলার তরুনরা, যুবকেরা মিলে এত সুন্দর একটি মোটর শোভাযাত্রা করবে সেটা কল্পনা অতীত। আমার বাবা যেহুতু সদর আসনের এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ। তাই আমি তার বড় কন্যা হিসেবে যতদুর জানি শেরপুরে এই মুহুর্তে মেডিকেল কলেজ হচ্ছে না। কারণ আমাদের লোকবল কম। তবে শীঘ্রই রেল লাইন ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে। আলোচনা সভায় অন্যানোদের মধ্যে মোটর বাইক শোভাযাত্রা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সোহেল রানা, রবিউল ইসলাম রতন, রুবেল মৃধা, অনিক মাহবুব, মাহমুদুল হাসান হান্নান, এইচ এ ইতি, মানবাধিকার সংস্থা আমাদের আইনের চেয়ারম্যান নুর ই আলম চঞ্চল, সম্পাদক নাজিমুল হোসাইন, আজকের তারণ্য, রুপসী শেরপুর, রজীবা, রক্তদানে আমরা শেরপুরসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।