শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী পালিত

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২২

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশে একগুচ্ছ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারি সোমবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। কর্মসূচি অনুযায়ী ১৯ জানুয়ারি বেলা ১১টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা শেরেবাংলা নগরের জিয়াউর রহমানের মাজারে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। একই সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে এদিন বেলা ২টায় রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ড্যাব ১৯ জানুয়ারি এবং বিএনপির পক্ষ থেকে চিকিৎসকরা আজ ২০ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করছে। সারা দেশে বিভিন্ন পর্যায়ের ইউনিটসমূহ নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করছে এবং করবে।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনী: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী বুধবার (১৯ জানুয়ারি)। ১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়ার গাবতলীর নশিপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মনসুর রহমান পেশায় ছিলেন একজন রসায়নবিদ।
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমে পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়া নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করবে বিএনপি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি নেতারা আজ বুধবার সকালে শেরেবাংলা নগরে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
মির্জা ফখরুল ইসলামের বাণী: এদিকে গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ জিয়ার সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশের সার্বভৌমত্ব শক্তিশালী হয় এবং স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদার আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। তাই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা নিজেদের নীলনকশা বাস্তবায়নের কাঁটা ভেবে জিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্তু তার এই আত্মত্যাগে জনগণের মধ্যে গড়ে উঠেছে দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে এক ইস্পাতকঠিন গণঐক্য। তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনেই আমাদের জাতিসত্তার সঠিক স্বরূপটি ফুটে ওঠে, যা আমাদের ভৌগোলিক জাতিসত্তার সুনির্দিষ্ট পরিচয় সুস্পষ্ট হয়। বিশ^ মানচিত্রে আমাদের আত্মপরিচয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। মির্জা ফখরুল বলেন, জাতির এক ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমান এক ঐতিহাসিক যুগান্তকারী দায়িত্ব পালন করেন। শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণায় মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয় এবং তিনি যুদ্ধে অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন। তিনি হন বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় মহান নেতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের ওপর আক্রমণ করার পর জিয়াউর রহমান তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীণ রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর তারই সহকর্মী খন্দকার মোশতাক আহমদ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। পরবর্তী সময়ে নানা রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও ঘটনাপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে সিপাহি-জনতার ঐক্যবদ্ধ অভ্যুত্থান ঘটে। দেশের সেই চরম ক্রান্তিকালে সিপাহি-জনতার মিলিত প্রয়াসে জিয়াউর রহমান নেতৃত্বের হাল ধরেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। চার বছর ক্ষমতায় থাকার পর ১৯৮১ সালের ৩০ মে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে শাহাদাতবরণ করেন জিয়াউর রহমান।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com