শিশির ভেজা সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো কৃষকের বিস্তৃত মাঠ জুড়ে চোখে পড়ে সরিষার হলুদ ফুলের সমারোহ। যেন চারিদিকে সরিষা ফুলের হলুদ রঙে সেজেছে ফসলের মাঠ। এ জন্য নয়ন জুড়ানো দৃশ্য হলুদে মেতে উঠেছে ফসলের ক্ষেত। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র। যেন মাঠজুড়ে হলুদ রঙের সাজিয়ে তুলেছে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের দৃশ্যরূপ। বালিকারা মেতে ওঠে আনন্দে হলুদ ফুলের রূপে। নিত্য নতুন ছন্দে মনের আনন্দে দিন কাটে বালিকাদের প্রতিদিন রাত শেষে ভোর হয় নতুন এক বার্তা নিয়ে সকালের শিশির ভেজা কুয়াশার চাদরে মাঠের মেঠো পথের দুধারে সরিষা ফুলের দৃশ্য সকলের মন কারে। জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে সরিষা ফুলের দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন ফসলের মাঠে হাজারো মানুষ তাকিয়ে থাকে গ্রামের বালিকারা হলুদ ফুলের সাথে নিজেদের পোষাক মিলিয়ে পরতে আনন্দ অনুভব করে। সরিষার মাঠ জুড়ে একদিকে মৌমাছির গুনগুন শব্দে মধু সংগ্রহ করছে। অন্যদিকে প্রজাপতির দল এক ফোন থেকে আরেক ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যিই যেন এক মনোমুগ্ধকর মুহূর্ত। বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ঝিলিক ফুটে উঠেছে। আমন ধান ঘরে তোলার সঙ্গে সঙ্গে এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক চাষীরা একই জমিতে সরিষা চাষ করছেন সরিষার ফলন ঘরে তোলার সঙ্গেই আবারও একই জমিতে কৃষকরা বোরো চাষ করবেন। সরিষা বিক্রি করে কৃষকরা বোরো আবাদের জন্য অল্প খরচে ও কম পরিশ্রমে সরিষার জমিতে ইরি-বোরো আবার হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হওয়ায় সরিষা চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এ অঞ্চলে। সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় ভালো দামের আশা করছেন কৃষকরা। উপজেলার কৃষক শামসুল আলম শেখ অনুরোধ জানান উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে সাড়ে ছয় বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ করেছি গাছে গাছে প্রচুর পরিমাণ ফুল ঝরায়ে আশানুরূপ ফলন হবে বলে মনে করছেন তারা। এবছর ভালো ফলন দেখায় প্রতি বিঘা পাঁচ থেকে ছয় মণ করে সরিষা ঘরে তুলবেন বলে আশা করেছেন এই কৃষকেরা। বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের কৃষক আশরাফ আলী বলেন সরিষা জমিতে বোরো আবাদ ভালো হয় এবং খরচ কিছুটা কম এছাড়াও বড় আবাদে যে টাকা খরচ হয় তা সরিষা বিক্রির টাকা দিয়ে মেটানো সম্ভব হয় বলে আমন ধান ঘরে তোলার সঙ্গে সঙ্গে ওই জমিতে তারা সরিষার চাষ করেন। সরিষা ফুলের সাথে ছবি তুলতে আসা দর্শনার্থীরা জানান প্রতিবছর এই সময়টাতে সরিষা ফুলে সারা মাঠ ভরে ওঠে প্রতিটি মাঠ সবুজ এর পরিবর্তে হলুদে ভরে ওঠে এ দৃশ্য দেখে আমার মত সকলেই মুগ্ধ হয়ে যায় তাইতো ফুলের সাথে মিলিয়ে পোশাক পরে ছবি তুলতে এসেছি। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার পরেশ চন্দ্র দাস জানান, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছর উপজেলা পৌরসভা সহ ৮ টি ইউনিয়নে বিভিন্ন চরাঞ্চলে মোট ১৩শত ৫০ হেক্টর জমিতে চাষের সরিষার চাষ আবাদ করছেন কৃষি বিভাগ সবসময় কৃষকের মাঠে মাঠে গিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করছে গত বছরের চেয়ে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে আশা করছি কৃষকেরা সরিষা চাষে লাভবান হবেন।