আগামী ৩১ জানুয়ারী কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ৬নং অষ্টমীরচর ইউনিয়নে ভোট গ্রহনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেনকে ঘায়েল করার উদ্দেশ্যে তার সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নৌকার সমর্থকদের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত ২৩ জানুয়ারী রাত আনুমানিক ১২ ঘটিকায় অষ্টমীরচর ২ নং ওয়ার্ড মুদাফৎ কালিকাপুর এ ঘটনা ঘটে। সতস্ত্র প্রার্থী সমর্থকদের আটক ২ এর প্রতিবাদে ২৫ জানুয়ারী দুপুর ২ টার দিকে নটারকান্দি দ্বী-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সংবাদ সম্মেলন করেন সতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেন। ঢুষমারা থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের। অপরদিকে অষ্টমীরচর ১নং ওয়ার্ডের ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী জিয়াউল হকের লোকজন প্রতিপক্ষ টিউবয়েল প্রতীকের তারিপুল্লাকে ঘায়েল করার উদ্দেশ্যে সর্মর্থিতদের দোষারোপ করে দলীয় অফিস ভাংচুর। সংবাদ সম্মেলনে জানান, মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩ জানুয়ারী, মনোনয়ন যাছাই বাছাইয়ের শেষ তারিখ ৬ জানুয়ারী, আপিল দায়ের তারিখ ৭-৯ জানুয়ারী, আপিল নিস্পত্তির তারিখ ১০-১২ জানুয়ারী, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৩ জানুয়ারী, প্রতীক বরাদ্দ তারিখ ১৪ জানুয়ারী, ভোট গ্রহনের তারিখ ৩১ জানুয়ারীর মতে সুন্দর সুষ্ঠ ভাবে প্রচার প্রচারনা চলছে। এরই মধ্যে ৩ বারের নির্বাচিত আনারস প্রতীকের সফল সাবেক চেয়ারম্যান সতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেনের মাঠ পর্যায়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা দেখে নৌকা সমর্থকদের কর্মীরা আনারস প্রতিকের সতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেনের সমর্থকদের সাথে পায়েপারা দিয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামার সৃষ্টি করে। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, নৌকা প্রতীকের কর্মীরা ইভিএম এর ভোট গ্রহন নিয়ে নানা বিভ্রান্তি মূলক কথাবার্তা বলে যাচ্ছে। এতে তারা প্রচারনা করে যাচ্ছে ইভিএমএ আনারস প্রতিকে ভোট দিলে নাকি নৌকা প্রতীকে ভোট যাবে। আরো বলেন, আমরা ক্ষমতাশীল দলীয় প্রার্থী। আমরা সারারাতে ভোটের প্রচার প্রচারনা করে যেতে পারবো। তবে অন্য কোন প্রতীকের প্রার্থী এ প্রচারনায় করতে পারবে না। এরই পেক্ষাপটে বিভিন্ন জের ধরে গত ২৩ জানুয়ারী রাতে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় দুই গ্রুপের প্রায় ১০ জন গুরত্বর আহত হয়ে বিভিন্ন হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপেই ঢুষমারা থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর মধ্যে আনারস প্রতীকের ২ জন কর্মীকে ঢুঘমারী থানার পুলিশ আটক করে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সরকার ও প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও শান্তি প্রিয় নির্বাচন দিবেন বলে আমরা দাবী করছি। অপরদিকে শতশত এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, ২৪ জানুয়ারী অষ্টমীরচর ১ নং ওয়ার্ড চর মুদাফৎ কালিকাপুর বেলুর মোড়ে ফুটবল প্রতীকের সাধারন সদস্য প্রার্থী ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউল হকের নেতৃত্বে দলীয় অফিস দখল করে নিজের নির্বাচনী ক্যম্প করেছেন। প্রতিপক্ষ টিউবয়েল প্রতীকের প্রার্থী তারিপুল্লার ভোটের ব্যবধানে জিয়াউল হকের কম থাকায় টিউবয়েল প্রতীকের কর্মীদের উপর অর্তকিৎ ভাবে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হামলা করে ৩ জন কে গুরুতর আহত করে । পরে বেলুর মোড় আওয়ামী লীগের দলীয় অফিস ভাঙ্গচুর করে টিউবয়েল প্রতিকের সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থী তারিপুল্লার উপর দোষ চাপিয়ে দেয়। এলাকার লোকজন বলেন, তাৎক্ষণিক ভাবে ঢুষমারা থানা পুলিশ এসে দেখে জিয়াউল হকের নেতৃত্বে দলীয় অফিসের ঘরের ভিতর থেকে এলোপাতারী ভাবে ভাঙ্গচুর করিতেছে। এ বিষয়ে টিউবয়েল প্রতীকের সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থী তারিপুল্লা বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী জিয়াউল হকের ভোটের ব্যবধানে আমার অনেক বেশী হওয়ায় এবং আমাকে ঘায়েল করার উদ্দ্যেশ্যে নিজে দলীয় অফিস ভাঙ্গচুর করে আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। জিয়াউল হক বলেন, তারিপুল্লার লোকজন দলীয় অফিস ভাঙ্গচুর করেছেন। এসআই আশরাফ জানান, বেলুর মোড় দলীয় অফিস ভাঙ্গচুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমারা খবর পেয়ে গিয়ে দেখি জিয়াউল হকসহ তার লোকজন দলীয় অফিস ভাঙ্গচুর করছে। ঢুষমারা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি ইমতিয়াজ আলী জানান, নির্বাচনী আইন ভঙ্গের দায়ে সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীকের দুই কর্মীকে আটক করে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।