কৃষি প্রধান দেশ বাংলাদেশ,কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, দেশের অধিকাংশ খাদ্য উৎপাদনে সহায়তা করে কৃষক। কৃষকরা মাথার গাম পায়ে ফেলে ফসল ফলিয়ে দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা পুরন করে। বর্তমানে মানুষ দিন দিন শহর মুখী হওয়ায় প্রতিনিয়ত কমছে কৃষি কাজের লোক। আর ফসল কাটার সময় কৃষি কাজে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। এই সংকট কমানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আধুনিক যন্ত্রের ব্যাবহার বাড়িয়ে কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় কৃষিকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে উন্নত ফসল ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।এরই ধারাবাহিতকতায় নীলফামারী জলঢাকায় চলতি ২০২১-২০২২ রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পশ্চিম বালাগ্রাম ইউনিয়নে বোরো ধানে সমলয় চাষাবাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আধুনিক কৃষি যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে ৫০ একর জমিতে একই সময়ে ট্রেতে বীজ বপন, চারা রোপণ এবং সফল কর্তনের মাধ্যমে কৃষকের যেমন উৎপাদন খরচ কমবে তেমনি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। বুধবার সকালে সমলয়ে চাষাবাদ ও রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে বোরো ধানের চারা রোপন এর শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মাহবুব হাসান, এ সময় উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, রংপুর অঞ্চল আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম,শুভ উদ্ভোদন সময় স্থানীয় কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, হামা প্রথমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে ধন্যবাদ জানাই, এত সুন্দর একটি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য এই উদ্যোগটি যদি পরিপূর্ণ ভাবে সফল হয়। তাহলে উৎপাদন খরচ কমানো, কর্তনোত্তর অপচয় রোধ, কায়িক শ্রম লাঘব, শ্রমিকের অভাব পূরণ ও ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।এবিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে জানা যায়। প্রচলিত পদ্ধতিতে ১ হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে খরচ হয় প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। যেখানে রোপন যন্ত্র ব্যবহার করলে ব্যয় হয় মাত্র ৩-৩.৫ হাজার টাকা। একইভাবে ধান কর্তনের ক্ষেত্রেও সময় স্বল্পতা এবং সারাদেশে প্রায় পাশাপাশি সময়ে কর্তন কাজ শুরু হওয়ায় শ্রমিকের ব্যাপক ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। এক্ষেত্রে একটি কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কর্তনে যেখানে প্রতি হেক্টর ৩.৫-৪ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানে শ্রমিক দিয়ে কর্তন, পরিবহণ, মাড়াই এবং ঝাড়াই বাবদ এলাকাভেদে প্রায় ১৮-২০ হাজার টাকা খরচ হয়। সে হিসেবে শুধু মাত্র রোপণ এবং কর্তনে যান্ত্রিককীকরন করা সম্ভব হলে ধান উৎপাদন খরচ হেক্টর প্রতি প্রায় ২৫-২৮ হাজার টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে বলে জানা যায়। এবিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না দৈনিক খবর পত্রকে বলেন, অল্প জমিতে বেশি ফলনের লক্ষে সরকারি প্রণোদনায় এই পদ্ধতির চাষাবাদের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। যান্ত্রিকচাষাবাদের শিক্ষা মুলক এই উদ্যোগ অনেকটাই সময় উপযোগী। তিনি আরো জানান, আমরা এ বছর সব খরচ বহন করছি এবং কৃষকরা যেন পরবর্তীতে এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে পারে সে বিষয়ে আমরা সরাসরি তাদের মাধ্যমে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করছি। এই কর্মসূচীতে সরকারিভাবে বীজ রোপণ থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত যাবতীয় খরচ বহন করা হবে।