বায়ু দূষণ মুক্ত শহর, কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য, শিশু শ্রম নিরসন শিশুবান্ধব ও শিশুবান্ধব স্বপ্নের পার্ক বিষয়ক ক্যাম্পেইনের উদ্ভোদন গত বুধবার ২৬শে জানুয়ারী টঙ্গীর বনমালা দত্তপাড়া এলাকায় আরবান প্রোগ্রাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও ওয়েস্টেক এর উদ্যোগে আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর মন্জু মারিয়া পালমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ।বিশেষ অতিথি ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো ফারুক আহমেদ, আবু বক্কর সিদ্দিক, মো নাসির উদ্দীন মোল্লা, আবুল হোসেন, ধিংঃবপয এর প্রধান নিবার্হী মহিউদ্দিন সৌরভ, ডমিনিক সেন্টু গমেজ টঙ্গী ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ প্রোগ্রাম অফিসার লরেন্স ফলিয়া, অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন-প্রোগ্রাম অফিসার শ্রাবন্তী বিশ্বাস। অনুষ্ঠানের ৪৭০০শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ সহ অতিথিদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণ কেক কাটা শান্তির পায়রা উড়ানো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। মানবিক সেবায় ওয়ার্ল্ড ভিশন ৫০ বছর। ওয়ার্ল্ড ভিশন, একটি খ্রিষ্টান, মানবিক ত্রাণ, উন্নয়ন এবং এ্যাডভোকেসি সংস্থা যা বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর একটি। সমাজের হতদরিদ্র শিশু এবং পরিবারকে সহায়তা করে তাদের জীবন-মানন্নোয়ন এবং দারিদ্রতা দূরীকরনে সংস্থাটি বদ্ধ পরিকর। ১৯৫০ সালে ড. বব পিয়ার্সের প্রতিষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ভিশন আজ বিশ্বের শতাধিক দেশে সেবা দিচ্ছে এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একযোগে কাজ করছে। ১৯৭০ সালে ওয়ার্ল্ড ভিশন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ভোলা জেলা জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মাঝে জরুরী ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতে আশ্রয় নেয়া শরনার্থীদের জরুরী ত্রাণ সহায়তা দেয় সংস্থাটি। ১৯৭২ সালে ওয়ার্ল্ড ভিশন যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত বাংলাদেশকে পুর্নগঠন করার জন্য নেত্রকোনা জেলার বিরিশিরির দুর্গাপুরে কার্যক্রম শুরু করে। সংস্থাটি সরকারের এনজিও ব্যুরো কর্তৃক নিবন্ধিত। সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ার্ল্ড ভিশন দারিদ্রের মূল কারণগুলি সনাক্ত করে সমাজের হতদরিদ্র এবং সবচেয়ে অবহেলিত বিশেষ করে পিছিয়ে থাকা সমাজ, পথশিশু, কর্মজীবি শিশু, আদিবাসী ও সমাজের নিগৃহীত শিশুদের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এ সংস্থাটি বিভিন্ন অংশীদার, বিশেষ করে সরকার এবং সুশীল সমাজের সাথে কাজ করে। এছাড়া দুর্যোগে দ্রুত সাড়া দেয় এবং দূর্যোগ কবলিত জনগণ বিশেষ করে শিশুদের জীবন রক্ষা, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে কাজ করে থাকে।