দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে প্রশাসনের অগোচরে সরকারি খাস খতিয়ানের জমি দখলের পাঁয়তারা করছে ঘোড়াঘাট কে.সি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ও কয়েকটি পরিবার। এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল সরকারের খাস জমি উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘোড়াঘাট উপজেলার চৌখন্ডী মৌজায় ১নং খতিয়ান ভূক্ত ১৫৬ ও ১৫৭ দাগে ১ একর ৫৭ শতাংশ জমি রয়েছে। বর্তমানে দুটি দাগের এ জমিতে পূর্ব থেকে লাগানো একটি আম বাগান স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় কয়েকটি পরিবারের দখলে রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে প্রশাসনের অগোচরে প্রায় ১ একর জমি স্কুল কর্তৃপক্ষ ইটের সীমানা প্রাচীর দ্বারা দখল করে রাখার চেষ্টা করছে। এছাড়া উক্ত আম বাগানটি প্রশাসনের অগোচরে প্রতিবছর লীজ প্রদান করে আসছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান ভোলা জানান, ১৯৮৫ সালে উক্ত জমি খাস খতিয়ানের আওতায় ছিল। সে সময় আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীনে সময়ে ঘোড়াঘাট কে.সি স্কুল এন্ড কলেজের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মৃত্য আলতাব হোসেন স্কুলের ব্যবহারের জন্য ভূমি অফিসে লীজের জন্য আবেদন করেছিলেন। বর্তমানে উক্ত জমি লীজ হিসেবে আছে কিনা তা আমার জানা নেই। স্কুলের পাশাপাশি এ জমি কয়েকটি পরিবারের দখলে রয়েছে। ঘোড়াঘাট কে.সি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান সরকারের সাথে জমির বৈধতা নিয়ে কথা হলে তিনি জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষের উক্ত জমির বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। বর্তমানে উক্ত জমির ১ নং খতিয়ানে রেকর্ড হওয়ায় কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি মাহমুদুল হাসানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সরকারি খাস জমি কেউ অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।